// রানা আহম্মেদ অভি, ইবি প্রতিনিধি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে মানা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। রবিবার (৩ মার্চ ) দুপুরে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নিয়মিত ছাত্র। অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ নামক ভাড়া বাসের ড্রাইভার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘গত শনিবার আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ যার নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) নামে একটি বাসে উঠি। বাসে উঠার পর দেখতে পায় তারা বহিরাগত যাত্রীদের কে বাসে তুলছে, পরে আমি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করি এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার আমাকে খুব অশ্লীল ভাষায় আমার বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করেন। এবং এক পর্যায়ে আমাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, ‘দুপুর বেলা আমাদের ক্যাম্পাসের বাসে ওঠে দেখি ড্রাইভার ও হেল্পার ডেকে ডেকে বহিরাগত যাত্রী তুলছে, আমি বাইরের যাত্রী তোলার প্রতিবাদ করলে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং পরে ডকুমেন্টস হিসেবে ভিডিও করতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছি। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কঠিন বিচার দাবী করছি।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাস ড্রাইভার রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমি আমার পরিচিত একজনকে গাড়িতে তুলেছিলাম তখন এই ছেলে ভিডিও ধারণ করে তখন আমি তাকে ভিডিও বন্ধ করার অনুরোধ করার পরও ভিডিও বন্ধ না করায় সামান্য কথা কাটাকাটি ঘটেছ, এর বেশি কিছু ঘটেনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘অফিসে অভিযোগ জমা দিয়েছে শুনেছি। আগামীকাল এ ব্যাপারে আলোচনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ড্রাইভারকে নিয়ে বসেছি এবং ড্রাইভারকে চার্জ করেছি। এছাড়া এ ড্রাইভার ও হেল্পার কে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির সাথে আমরা আলোচনায় বসবো।’