// ইয়ানূর রহমান : যশোরের শরিফুল ইসলাম সোহাগ (২৬) হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা
তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, পৌর কাউন্সিলার জাহিদ হাসান মিলনসহ ১১ জনের
বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। গত মঙ্গলবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও
দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব আসামিদের আইনজীবীদের ডিসচার্জের আবেদন না মঞ্জুর
করে চার্জগঠন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আর এম
মঈনুল হক খান ময়না, গাজী আব্দুল কাদির ও মিলন আহম্মেদ। এসময় সকল আসামিরা
উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী আর এম মঈনুল হক খান বলেন, এ মামলার সাত আসামির আইনজীবী। তার
মধ্যে রয়েছেন কাউন্সিলার জাহিদ হাসান মিলনও। মামলার চার্জগঠনের পর সকল
আসামিকেই জামিন প্রদান করেছেন আদালত। তবে, মিলন আরেকটি মামলায় আটক থাকায়
তাকে কারাগার থেকে এ মামলার আসামি হিসেবে আদালতে আনা হয়। পরবর্তিতে এ
মামলায় তিনি জামিন পান। আগের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট রাত সোয়া ১২টার দিকে যশোর শহরের কাজীপাড়ায়
নিজ বাড়ির সামনে খুন হন যুবলীগ কর্মী সোহাগ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফেরদাউস
হোসেন সোমরাজ ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনকে আসামি করে
কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি
পুলিশের বিদায়ী ওসি মারুফ আহম্মদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে
অভিযুক্ত অন্য ৯ জন হলেন শহরের কাজীপাড়া গোলামপট্টির আব্দুল খালেকের ছেলে
ইয়াসিন মোহাম্মদ কাজল, ধর্মতলার কালিমের ছেলে টিপু, কাজীপাড়া গোলামপট্টির
আবুল কাশেম ওরফে পিকুলের ছেলে সাগর, সিরাজের ছেলে তরুণ, আব্দুল বাকেরের
ছেলে আলামিন, কাজীপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ডাবলু, কাজীপাড়া আমতলার এসএম
আকাশ, ঘোপ জেল রোডের এসএম মহিউদ্দিন এবং সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের
লিটন।