// নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আমি অস্ট্রিয়ায় দেখেছি সেখানকার মানুষেরা ইউনানী ঔষধ সেবন করেন। তারা জানেন ইউনানী ঔষধ সেবনে কোন ক্ষতি নাই। সে কারণে প্রেসক্রিপশন ছাড়া সেখানে এই ইউনানী ঔষধ পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ডাক্তারের কাছে গেলে তারা কিন্তু ইউনানী ঔষধ দেবে না। তারা দেবে ট্যাবলেট। আর রিপ্রেজেন্টিটিভরা ঔষধের দোকানের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন। আমার কাশির অসুখ ছিল। অনেক ওষুধ খেয়েছি কিন্তু সারে নাই। আমাকে একজন ইউনানী হাকীম মনটেক্স নামক একটা ঔষধ দিয়েছেন সেটা খেয়ে এখন আমি সুস্থ। কাজেই আপনাদের কাছে অনুরোধ এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে আসুন। মানুষকে বাঁচান। রোগীর ওষুধে যে খরচ না হয়, একজন ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে তার খরচ কে বারিয়ে নিয়ে আসছেন। একজন হাকীম চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারেন এটা আপনাদের প্রচার করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষই জানেন না ইউনানী ঔষধ রোগ সারাতে পারে।
বাংলাদেশ ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতি ও মেডিসিন প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের আয়োজনে ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতির মূলনীতি শীর্ষক সেমিনার ২০২৪ এর অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন এসব কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টায় পাবনা জেলা পরিষদের রশিদ হলে অতিথিদের আসন গ্রহনের পর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথি ও পাবনার সকল ইউনানী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ফুল দিয়ে বরণ, উত্তোরিও সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদানের পর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার ভিতর দক্ষ হাকীমদের মাঝে রোগীদের সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য সনদ ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. সাইদ আহমেদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ তত্বাবধায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ হারবাল প্রডাক্ট কসমেটিক এন্ড ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল, বাংলাদেশ ইউনানী ডক্টরস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাকীম রেজাউল করিম, পাবনা মেডিসিন ফুড এন্ড ম্যানুফ্যাকচারা এসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাসেদ ও সাধারণ সম্পাদক এবং হার্বেক্স এন্ড কোং (ইউনানী) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইমরুল হাসান রন্টি।
ইমপেল লেবরেটরিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও পাবনা জেলা মেডিসিন ফুড এন্ড ম্যানুফ্যাকচারা এসোসিয়েশনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাকীম রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মেডিসিন ফুড এন্ড ম্যানুফ্যাকচারা এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রবিউল ইসলাম রবি, বাংলাদেশ ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতির সদস্য আবুল হোসেন মঞ্জুর কাদের, বাংলাদেশ ইউনানী ডক্টরস সোসাইটির নির্বাহী সদস্য দলিল উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর সভাপতি হাকীম আমিনুল আরেফিন, রাজশাহী বিভাগের নির্বাহী সদস্য হাকীম মুরাদ পারভেজ, পাবনা সভাপতি হাকীম আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক হাকীম ইমরান হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুকে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনানী ঔষধ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আলম ভুঁইয়া। মূল প্রতিবেন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনানী ডক্টরস সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় সহ সভাপতি শরিফুল ইসলাম।
অনিষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক ফাতেমা বিনতে রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক সৈকত কুমার কর, পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সোহেল, সাফিয়া ল্যাবরেটরিজ ইউনানী লিঃ এর সত্বাধিকারী রাকিবুজ্জামান আবির, ব্রাদার্স ফুড এন্ড বেভারেজের সত্বাধীকারি শাহেদ ইসমাইল, নিয়ম ফার্মাসিউটিক্যালসের সত্বাধীকারী ফরহাদ হোসেন, গ্রেন ল্যাবরেটরিজের সত্বাধীকারি সাইফুর রহমান, ট্রাস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের সত্বাধীকারি ইকরামুল হক সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে। তিলাওয়াত করেন হাকীম শাহাদাৎ হোসেন।
ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি
ড. সাইদ এর অনুরোধে আরও একটি কুরআন এর আয়াত তিলাওয়াত করেন হাকিম দলিল উদ্দিন।