// ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিহতের চার বছর পর আদালতের নির্দেশে ময়না খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহতের আট মাস পরে ওই নারীর স্বামী আয়নাল হক আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ওই মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করে। উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নের ঘোষ বেলায় গ্রামের কবরস্থানে ওই নারীকে দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ঘোষবেলাই গ্রামের একটি বিলের মধ্যে ময়না খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। মৃত্যুর সময় ময়না খাতুনের বয়স ছিল ৪৫ বছর। ওই সময় পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে ময়না খাতুনের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন। এর ৮ মাস পরে নিহতের স্বামী আয়নাল হক আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ঘোষবেলাই গ্রামের হাঁসের খামারি বেল্লাল ও জলিল সহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বেল্লাল ও জলিলের হাঁসের খামার থেকে বৈদ্যুতিক তারে পরিকল্পিতভাবে শক দিয়ে হত্যা করা হয় ময়না খাতুনকে। পরে মরদেহ বিলে ফেলে রাখা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তদন্ত করছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হক বলেন, আদালতের আদেশে মরদেহের হাড়গোড় কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা ফরেনসিভ বিভাগে পাঠানো হবে।