// নাটোর প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৪ বছর পর নাটোরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ বেলাল হোসেন (৪৯)নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।রোববার(১৪ জানুয়ারী) রাতে ঢাকা জেলার সাভার থানার কলমা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে নাটোর র্যাব ক্যাম্প থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন (৪৯) নাটোর সদর উপজেলার উলিপুর গুচ্ছ গ্রামের মৃত জব্বার হোসেনের ছেলে।
র্যাব নাটোর জানান, ২০১০ সালে নাটোর সদর উপজেলায় তেবাড়িয়া ইউনিয়েনে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে জনৈক নূর মোহাম্মদ মুন্সী’র আম ও কলা বাগানের মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। এসময় মরদেহের পাশে থাকা একটি পার্সব্যাগ, একজন মহিলার ছবি ও একটি নোটবুক জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মোছাঃ জেসমিনকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও জড়িত সন্দেহে আসামি মোঃ বেলাল হোসেনকে পলাতকে চলে যায়। পরে এ ঘটনার তদন্তভার এসআই মোঃ নুরুজ্জামান দেওয়া হয়। আসামি মোছাঃ জেসমিন বেশ্যাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আসামি বেলাল হোসেন ও আসামি মোছাঃ জেসমিন দুইজন কথিত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে বসবাস করতেন। আসামি বেলাল হোসেন প্রায় সময় অজ্ঞাতনামা মৃত নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতো। এ অপরাধ গোপন করার জন্য আসামি বেলাল হোসেন ও জেসমিন মিলে অজ্ঞাতনামা নারীকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুন্যাল বিচার শেষে আসামি মো. বেলাল হোসেনকে যাবজ্জীবন সাজাসহ এক লক্ষ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এরপর থেকে আসামি মোঃ বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। পরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গত ১৪ জানুয়ারী রাতে ঢাকা জেলার সাভার থানার কলমা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন র্যাব।