একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব ‘মোহাম্মদ আরিফুল আলম নোমান’

// আজিম উল্যাহ হানিফ

দক্ষিণ কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ভুলুয়াপাড়া পন্ডিত বাড়ির দানবীর মুন্সি মুজাফফর আহমেদ পন্ডিত সাহেব ৮ শতক (ভিটা মসজিদ বাড়ি) বড় পুকুর পরিমাণ ৩.৭৭ শতক ভুলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন এবং  মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। তার মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে  আলহাজ্ব হারেছ আহমদ মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। তিনি দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হলে-গ্রামের মুরুব্বিগণ তাহার ছেলে  কে মোহাম্মদ  আরিফুল আলম নোমান কে  মোতাওয়াল্লি /সভাপতি নিযুক্ত হন।  ১৯৯০ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মোহাম্মদ  আরিফুল আলম নোমান সভাপতি/মোতাওয়াল্লী হয়ে.. নতুন মসজিদ নির্মাণসহ  হুজুরাখানা ভবন, পুকুর ভরাট করে গরুর হাট, প্রতিষ্ঠা করেন,মক্তব ভবন,  সৌন্দর্যবর্ধনে পুকুর পাড় বৃক্ষরোপন, গেইট নির্মাণ, বাউন্ডারি, পুকুরে গার্ডওয়াল নির্মাণ,  কবরস্থান রক্ষার জন্য মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ,  খতিব-ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মক্তবের শিক্ষকের সম্মানী পরিশোধসহ মসজিদের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন ও করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ওয়াকফ স্টেট প্রশাসক সচিব ২০২১ সালে সরকারিভাবে মোহাম্মদ  আরিফুল আলম নোমানকে ইসি নাম্বার ২২২৭৫, ভুলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ সভাপতি/ মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন। জমির পরিমাণ ৪.৭১ শতক। সামাজিক ব্যক্তিত্ব-পরিচিত মুখ মোহাম্মদ  আরিফুল আলম নোমান’র জন্ম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের (প্রাক্তন বৃহত্তর নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন) ৯নং ওয়ার্ড ভুলুয়াপাড়া গ্রামে। পিতা- মৃত আলহাজ্ব হারেছ আহমেদ। মাতা-খোরশেদ আরা বেগম। দাদা দানবীর -মুন্সি মুজাফফর আহমেদপন্ডিত( পন্ডিত বাড়ি)  মোট ২ ভাই, ৬ বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। লেখাপড়া-নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশ করেছেন দ্বিতীয় বিভাগে # নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগ  ডিগ্রি পাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাস্টার্স ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। পরীক্ষাটা বাবা অসুস্থতার জন্য দেয়া হয়নি। ২০০৮ সালের ১৩ জুন ভৈরব সুপরিচিত পরিবার (দানিশ মঞ্জিল) দানবীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী হাফিজ উদ্দিন মিয়া ছাহেবের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ধন মিয়া সাহেবের নাতনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম গোলাম মোস্তফা বাবুল সাহেবের সুযোগ্য কণ্যার সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। ২০০১ সালে নাঙ্গলকোট বাজার ব্যবসায়িক সমিতি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এই পদে তিনি ২ বার দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে নাঙ্গলকোট উপজেলা মোতাওয়াল্লী সমিতির  নবনিযুক্ত সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখার জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দুই দুইবার ছিলেন  ছিলেন। ৯০র  স্বৈরাচার এরশাদ  বিরোধী আন্দোলনের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও তৎকালীন ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য ডা. একে এম কামারুজ্জামান খানকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ‘জাসাস’ নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন, ভুলুয়াপাড়া টাইগার ক্লাব রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত  সাধারণ সম্পাদক পদে ২ সেশনে দায়িত্ব পালন করেন রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেন,  সাবিত্রা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সেশনে সভাপতি পদে ছিলেন। ২০০৫ সালে নাঙ্গলকোট ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী’ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়-তাকে। তিনি সাংবাদিক সায়েম মাহবুব স্মৃতি সংসদের সদস্য, সাংবাদিক শামছুল করিম দুলাল স্মৃতি সংসদের সদস্য, ভাষাসৈনিক আবদুল জলিল পরিষদের সদস্য, কবি এস এম আবুল বাশার স্মৃতি সংসদের সদস্য, সাহেদাপুর রহমানিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্স’র সহ-সভাপতি, ভুলুয়াপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাতা সদস্য, তিলিপ গণিয়া টাস্ট ও এতিমখানা কমপ্লেক্স এর ভাইস চেয়ারম্যান, “সমাজ সেবায় “বিশেষ অবদানের জন্য  রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন( আরজেএফ) বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম কাজ থেকে বিজয় সম্মাননা ২০২২ পুরস্কার গ্রহণ করেন,  নাঙ্গলকোট উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন,  ভুলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি / মোতাওয়াল্লী  হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি তাহার বৃদ্ধ “মায়ের”সেবা করেন,তিনি এলাকায় গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকেন, আমরা আশা করি  ভবিষ্যতে যেনও আল্লাহপাক আরও সম্মানিত করেন  স-পরিবারে হজ্বপালন করার নিয়ত রয়েছে। তিনি সকলের দোয়া চেয়েছেন।

লেখক: আজিম উল্যাহ হানিফ,কবিও কলামিস্ট। ০১৮৩৪-৩৮৯৮৭১