// অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া, বরিশাল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে লাঙ্গলে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার জাতীয় পাটির সভাপতি ও সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে গৌরনদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম দেলোয়ার রনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার মনোনয়ন দিয়েছে এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীকে। তিনি মনোনয়ন পেয়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার দলীয় কোন নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করে জামাত ও বিএনপি সমর্থক টিপু চোকদার ও খোকন হাওলাদারকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার এই আচরণের জন্য আমরা দুই উপজেলার জাতীয় পার্টির ত্যাগী নেতাকর্মীরা সেকেন্দার আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে লাঙ্গল মার্কায় ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী ২০১৮ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আওয়ামী লীগের একটি সভায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ছিলেন। তার যোগদানের সংবাদ দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীকে মনোনয়ন নিয়ে দলীয় মান সম্মাণ ক্ষুন্ন করেছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা ছেরনিয়াবাত ছেকেন্দার আলীকে ভোট দেবোনা এটা আমাদের গৌরনদী-আগৈলঝাড়া জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত। এখন দল সিদ্ধান্তÍ দেবে ৭ তারিখ কাকে ভোট দেবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা জাপ সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক সরদার হারুন রানা, গৌরনদী উপজেলা জাপা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.আহাদুল ইসলাম আহাদ, গৌরনদী পৌর জাপা সভাপতি আবু হানিফ খলিফা, যুব সংহতির সভাপতি হারুন আর রশীদ, আগৈলঝাড়া জাপা সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ মোল্লা, যুগ্ন-সম্পাদক কাজী এনামুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাইয়েদ খান, প্রচার সম্পাদক সুন্দর আলী পাইক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
এব্যাপারে বরিশাল-১ আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী বলেন, সিরাজুল হক, হারুন রানা, আলতাফ ও দুলাল এরা একটি গ্রুপ আছে তারা জাতীয় পার্টির নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের পরিবারে লোকজন ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে একটি পকেট কমিটি করে গত ৩৫ বছর ধরে দালালী করে আসছে। আমি ২২ বছর জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। বর্তমানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক। আমি দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলাম। আমার রাজনৈতিক অবস্থান যাচাই বাছাই করে আমার বিষয়ে জেনেশুনে আমাকে লাঙ্গল মার্কায় মনোনয়ন দিয়েছে। আমার সাথে যারা আছে তারা জাতীয় পার্টির ত্যাগী কর্মী।