ইয়ানূর রহমান : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদত হোসাইন ওরফে মতিউর রহমান (৩০) ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন বাজারে। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। একদিন পর যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে হঠাৎ তিনি বেনাপোল থানায় চলে আসেন। পুলিশকে জানান, কে বা কারা তাকে এখানে এনে ছেড়ে দিয়েছে। এখানকার কাউকে আমি চিনি না। নিরাপত্তার জন্য আমি থানায় এসেছি।
বুধবার দুপুরে শাহাদতের স্ত্রী বলেন, তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় পাওয়ার কথা শুনতে পেরেছেন। পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বেনাপোলে শাহাদত কীভাবে গেলেন, তা বুঝতে পারছেন না তারাও। তার নামে কোনো মামলা নেই। সেখানে কেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন, সেই প্রশ্ন করেন তিনি।
বেনাপোল থেকে নেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে লিমন নামের তার এক বন্ধু এসেছেন।
লিমন বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়েই বুঝতে পারবেন, শাহাদত কীভাবে বেনাপোলে গেলেন। রাজশাহী থেকে তার পরিবারের লোক জন ও এসেছেন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে বাঘার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন বলেন, থানায় আসার পর আমরা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে তার কাছ থেকে সব শুনেছি। পরে খবর দেওয়া হয় রাজশাহীর বাঘা থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে বাঘা থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, বুধবার সকালে শাহাদত হোসাইন বেনাপোল থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। থানা থেকে তাকে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে রাজশাহীতে আনার পরই বোঝা যাবে তিনি সেখানে কীভাবে গেলেন। এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে তার সঙ্গে
কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার রাত থেকে শাহাদতকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বাঘা থানায় তার বাবা আবদুল খালেক একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার বাড়ি বাঘা উপজেলার মশিদপুর গ্রামে।
শাহাদতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি এলাকায় ব্যবসা করেন। গত শনিবার ব্যবসার কাজে নওগাঁয় গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে রোববার রাতে বাড়িতে ফেরেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাঘা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির টাকা আনতে যান। সেখান থেকে চার লাখ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা নিয়ে
তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।#