// সঞ্জু রায়:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে উদযাপন করা হয়েছে মৈত্রী দিবস ২০২৩। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসের বিশেষ এই দিনটিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় দূতাবাস।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে আয়োজনে দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাত্রায় সব সময় পাশে থাকবে ভারত। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই দিনটি দুই দেশের জনগণের আবেগের বন্ধন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অসামান্য ভূমিকার উপলক্ষ হয়ে আছে। এছাড়াও দিনটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বড় প্রভাব রেখেছে। প্রণয় ভার্মা বলেন, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে দুই দেশের মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর দুই দেশের অংশীদারিত্বকেও ছাড়িয়ে যাওয়া সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল। এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বহুদূর বিস্তৃত। দুই দেশের সম্পর্ক আজ বহুমুখী। এ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্তহীন।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের সংস্কৃতিকে নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করতে পরিবেশন করা হয় নিজেদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা পল্লী গীতি, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, জলের গানসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।