// মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষি মন্ত্রণালয়, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, আঞ্চলিক অফিস জামালপুরের অধীনে ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (ব্রম্মপুত্র) এর মাধ্যমে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক উপজেলা পর্যায়ে সার-সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। ২৮নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্তরে চাষীদের মাঝে এ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কার্ড বিতরণে উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার, ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (ব্রম্মপুত্র) এর টিম লিডার ও উধর্বতণ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রবি মৌসুমে ঝিনাইগাতীতে মৃত্তিকা পরীক্ষায় ৫০জন কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝে সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (ব্রম্মপুত্র) এর মাধ্যমে রবি ও খরিপ মৌসুমে কৃষকদের কোন মাটিতে কেমন সার বিতরণ করা উপযুক্ত, ৫০ টাকার বিনিময়ে তা পরীক্ষা করে তারা সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার জানান, যদি কোন কৃষক তাদের চাষাবাদের জমির মাটি পরীক্ষার জন্যে জামালপুর অফিসে গিয়েও পরীক্ষা করিয়ে আনতে পারেন। এতে কৃষকরা তাদের চাষাবাদের জমিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করে সুফল পাবেন। এতে যেনতেন সার প্রয়োগ যেমন কমবে, তেমনি কমে আসবে কৃষকদের সার প্রয়োগের খরচও বলে জানান তিনি।