// ইয়ানূর রহমান : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে। একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতবছর (২০২২ সালের পরীক্ষা) শতভাগ পাস করেছিল ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬ এবং ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৭৫। আর ২০২২ সালে ৬টি প্রতিষ্ঠান শূন্যভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়লে তার আগের দু’বছরে শূন্যভাগ পাসের হারের লজ্জাজনক রেকর্ড ছিল না কোনো প্রতিষ্ঠানের।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে শতভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়েছে, খুলনার খুলনা পাবলিক কলেজ (৩১৭ জনের সবাই পাস), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভবদহ মহাবিদ্যালয় (১২২ শিক্ষার্থী), ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ (৪৬ শিক্ষার্থী), খুলনার ফুলতলা জামিরা বাজার আসমতিয়া কলেজিয়েট স্কুল (১১৭
শিক্ষার্থী), যশোরের কেশবপুরের সাউথ বেঙ্গল কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী), খুলনার মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল (৮৩ শিক্ষার্থী), খুলনার সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল (৫৭ শিক্ষার্থী), বাগেরহাটের ফকিরহাটের লাখপুর
আলহাজ আম্বিয়া ইসহাক কলেজিয়েট স্কুল (৭৯ শিক্ষার্থী), খুলনার খালিশপুরের নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪২ শিক্ষার্থী) ও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী)।
অপরদিকে, এবার যশোর বোর্ডের শতভাগ শূন্য পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭টি হলো, কুষ্টিয়ার মিরপুরের কেএম আইডিয়াল কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), খুলনার তেরখাদার শাপলা কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের ইসলামিয়া মহিলা কলেজ (৩ জন পরীক্ষার্থী), মাগুরা সদরের দক্ষিণ নওয়াপাড়া সম্মিলনী কলেজ
(১০ জন পরীক্ষার্থী), নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা মহিলা কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী) ও গোবরদাড়ি জোরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী)।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৫৭৬টি কলেজের মধ্যে এবার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শতভাগ পাস করেছে। একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, ফলাফলের জন্য শূন্যভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানকে সর্তক ও শো’কজ নোটিশ পাঠানো হবে। একই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।