সংলাপের জন্য শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে ডায়লগের কথা বলেন। এই ডায়লগের জন্য গণভবনে শেখ হাসিনা সব দলের সঙ্গে বসেছেন। সেখানে বিএনপিকে পর পর দুই দিনের জন্য ডাকা হয়েছিল।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন যদি কোনো দল তাদের মত পাল্টে নির্বাচনে আসে, তবে তারাও ওয়েলকাম। যদি বিএনপিও নির্বাচনে আসে, তাহলে তারাও ওয়েলকাম।’
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না। সংলাপের কথা বলে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি।’ এ সময় ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন। ডায়লগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে বিশ্রী অসদাচরণ করেছেন, সেটা কারও অজানা নয়।’
শেখ হাসিনাকে এ সময় ‘নীলকণ্ঠ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা হজম করেছেন। আসেননি খালেদা জিয়া। অসদাচরণ করেছেন তিনি।’
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সময় শেখ হাসিনা উপস্থিত হলে খালেদা জিয়ার অসদাচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন (কোকোর মৃত্যু) সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা গেছিলেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেননি। অসদাচরণ করেছেন তিনি।’
বিএনপির আন্দোলন, সংগ্রাম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রাম বিএনপি করেছে। আমরা শান্তি সমাবেশ করেছি। কখনও কি তাদের সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে? কখনও ব্যাহত হয়েছে? আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাশকতা, আগুন সন্ত্রাসই তাদের মূল লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের যে চোরাগোপ্তার পথ, তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির পথ, তাদের সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস করার মেগা প্ল্যান কার্যকর করেছেন।’