নদীর জায়গায় বসে থাকার কোন সুযোগ নেই- এমপি প্রিন্স

// স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেছেন, বড় বড় এমপি মন্ত্রীও ছাড় পায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে খুব শক্তস্থানে রয়েছেন। পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন এবং মহামান্য রাস্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এর আন্তরিকতায় গত ৩১ অক্টোবর একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পাবনার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাবনাবাসীর প্রাণের দাবীর সাথে আমিও একাত্বতা ঘোষণা করে ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে ছিলাম। নদী পুনরুজ্জীবত হওয়া পর্যন্ত থাকবো ইনশাল্লাহ।
ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার উদ্যোগে গতকাল (১১ নভেম্বার) বিকেল ৪ টায় পাবনা শহরের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ এবং ইছামতি নদীর উপর প্রামন্য চিত্র প্রদর্শণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলমেরসভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধ আস ম আব্দুর রহিম পাকন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান এবং রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ^াস রানা। বক্তারা বলেন ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণ প্রকল্পের জন্য ৩১ অক্টোবর ১৫৫৪ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক বার ইছামতি নদী খনন কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সম্প্রতি ইছামতি খনন কাজে প্রায় ৬ কোটি এবং ইছামতি নদীর দু‘পাড়ের অভৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাত্র খনন কাজে ৭৭ লক্ষ এবং উচ্ছেদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বাকী অর্থ কোন কাজে আসেনি। কেননা নদী পাড়েরর বসতীরা প্রায় ৭৭ টি মামলা দায়ের করে উচ্ছেদ ও খনন কাজ বন্ধ রেখেছেন। দৃশ্যতা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে কোন ঠিকাদার দিয়ে এ কাজ করা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে সেনাবাহীনির বিকল্প আর কোন চিন্তা করার অবকাশ নেই। মাহামান্য রাস্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবী সেনাবাহীনির দ্বারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হউক।
আলেঅচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক এম এ ছালাম,সাবেক সদস্য সচিব হাসান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মনছুর আলম,সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম বিজলী, সর্ব আন্দোলনকারী বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি পাবনা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ( অবঃ) নওশের আলী মন্টু, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিয়াউল হক জিয়া, নাটোর ভিটিআই সুপারিনটেন্ড আবুল কালাম আজাদ, পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নন টেক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী আকবর মিয়া রাজু, প্রধান শিক্ষক( অবঃ) আমানুল্লাহ খান, প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী, জহুরুল ইসলাম প্রিন্স , ওসাকার পরিচালক মাযাহারুল ইসলাম, কৃষিবিদ জাফর সাদেক,সাংবাদিক তালুকদার আব্দুল হান্নান, সিনসা বিশেষ প্রতিনিধি খালেদ আহমেদ, কবি নিন্দুক বিশ^াস, শিক্ষার্থী আইভি ইসলাম পিংকী প্রমুখ। কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি ও মানবাধিকার কর্মী করুনা নাসরিন, কবি মধুসুদন মজুমদার, কবি মহসীন আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার শাখা কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার অর্থ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাছিমা খন্দকার, শিক্ষক ও মানবর্ধিকার কর্মী সাঈদ উল ইসলাম,মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম রিজু,দালিক ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর স¤্রাট,সাংবাদিক আর কে আকাশ,মাহবুবুল আলম লিটন, মোঃ বকুল, মিঠুন হোসেন, ইমরান শেখ, সিহাব হোসেন সজীব, হাবিব তালুকদার, সোহেল হাসান, মামুন অর রশিদ, মাহফুজ, হাসেম, বাশার, হৃদয় রাফসান, সাহেদ খান, আসাফুদ্দৌলাহ প্রমুখ।