লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ৯১ তম মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর ২০২৩) বিকেলে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস এর আয়োজনে মিল চত্বরে সুগার মিলের ৯১তম মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) শেখ শোয়েবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-১ (লালপুর- বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা মোত্তজা লিলি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব, লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা প্রমুখ।
মিল সূত্রে জানা যায়, মিলের মোট জমির পরিমাণ কারখানা ও আবাসিক এলাকা ৬৬.১৫ একর। মিল এলাকার আয়তন ৩২৯ বর্গ কিলো মিটার। মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ২২ হাজার ৭২০ হেক্টর। মিলের ৩২টি আখ ক্রয় কেন্দ্র ১৫.১২৭৫ একর ৮টি বার্ণিজ্যিক খামারের জমির পরিমাণ ৪৮৭৮.০৫ একর মোট জমির পরিমাণ ৪৯৫৯.৬২৭৫ একর। স্থায়ী, মৌসুমী ও চুক্তি ভিত্তিক ১ হাজার ৬০ জন শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়ে মিলটি চালু রয়েছে। বর্তমানে মিলটি ৮৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে অধ্যবদি মিলের অবসর প্রাপ্ত প্রায় দুই শ শ্রমিকের ১৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মো. আসহাব উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে মিলের নিজস্ব ১ হাজার ৬০২ একর ও মিল এলাকায় ১১ হাজার ৫০০ জন কৃষকের ১৩ হাজার ৯৮ একরসহ মোট ১৪ হাজার ৭০০ একর জমিতে আখচাষ হয়েছে। ১০৩ কার্যদিবসে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১১ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৬.৫০ ভাগ। উৎপাদিত চিনির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। গত ২০২২-২০২৩ মাড়াই মৌসুমে ৫২ কর্মদিবসে ৮১ হাজার ৮২৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪০৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। চিনি আহরণের হার ছিল শতকরা ৫.৩৬ ভাগ।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, এ বছর আখের মূল্য ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী মৌসুমে তা বৃদ্ধি করে ২৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষিদের কষ্টার্জিত আখের মূল্য সহজ ও নিরাপদ করতে বিকাশ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে পূর্জির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিলকে লাভজনক ও চাষিদের আখ আবাদে উৎসাহিত করতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মান সম্মত সার, কীটনাশক ও বীজ চাষিদের মধ্যে সরবরাহ, অবৈধ আখ মাড়াই ও পাচার বন্ধ করে মিলে আখ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কার্যকরী