নাটোরে গৃহবধু হত্যা মামলা আত্মহত্যা বলে চালানোর প্রতিবাদে এলাবাসীর মানব বন্ধন

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর গুরুদাসপুরে আসমা হত্যা মামলা আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। রোববার সকাল ১১টারদিকে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে নিহতের স্বজন ও এওলাকাবাসী ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধন চলাকালে নিহতের মা সূর্য্য বেগম বোন, সুফিয়া বেগম প্রতিবেশী সাদিয়া বেগম এবং মানবাধিার কর্মি নুর জাহান আক্তার বক্তব্য রাখেন। পরে তারা নাটোর জেল প্রশাসক বরাবর একটি স্বরক লিপি প্রেস করা হয়।
এসময় মানব বন্ধন থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৯ই সেপ্টেম্বর নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামে যৌতক লোভী এনতাজ আলী ছেলে ফারুক ওতার পরিবারের তিন সদস্য মিলে আসমা বেগমকে (৩৫) শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পরলে তার মুখে জোর পূর্বক বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে। নিহত আসমা নাটোর সদর উপজেলার হালসা এলাকার রায়ঘাট গ্রামের মৃত বাসক আলীর মেয়ে।
জানা যায়, প্রায় ১১ বছর পূর্বে আসমা ও ফারুকের মধ্যে দুই লক্ষ কাবিন মূল্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন সংসার যেতে না যেতেই আসমার নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় এবং স্ত্রী আসমার সাথে যোগাযোগ রাখে না। কয়েক বৎসর অপেক্ষা করার পর ফারুখ ফিরে না আসায় শশুর শাশুরির চরম নির্যাতনের ফলে আসমা বেগম বাবার বাড়ি চলে যায় এবং ফারুককে তালাক দেয়। পরে গত ০২/০/২০২১ইং তারিখে আসমা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সংসার করার আসায় ফারুককে ২য় বার বিয়ে করে।
এর পরই ফারুক জানতে পারে আসমার পরিবার থেকে বোনদের মধ্যে বাপের ওয়ারিশ ভাগাভাগি হয়। এতে বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে ৫ লক্ষ টাকা পায় আসমা। এর মধ্যে তিনলক্ষ টাকা ফারুককে দেয়।
কিন্তু যৌতুক লোভী ফারুখ ও তার পরিবার বাকী ২ লক্ষ টাকার জন্য আসমাকে চাপ দেয় এবং নির্যাতন করতে থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় আসমার পরিবারকে টাকা না দিলে মোবাইল ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, যা মোবাইলে রেকডিং রয়েছে। গত ১৯/০৯/২০১৩ তারিখে আসমাকে দিনভর শারীরিক ভাবে নির্যাতন করার পর আসমা অচেতন হয়ে পরলে তার মখের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয় এবং সে আত্বহত্য করেছে বলে অপপ্রচার চালায়।
এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন জানাজানি হলে আসমাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার পরিস্থিতির অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
বিষয়টি নিয়ে আসমার পরিবার গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে গেলে অভিযোগ গ্রহণ না করায় আসমার মেজ ভাই গত ২০/০৯/২০১৩ইং তারিখে নাটোরে একটি সি আর মামলা দাখিল করে। যার মামলা নং-৫০০, তাং- ২৩/০৯/২০২০ এদিকে ভিকটিমের শরীরে অসংখ্য নির্ধাতনের চিহ্ন ছিল তার স্বাক্ষী রয়েছে বলে দাবী করছেন মানববন্ধনে যোগ দিতে আসা স্বজন ও এলাকাবাসীরা।