বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ রোববার ৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে বিএনপির ও জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দ্বিতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনি এই অবরোধ উপেক্ষা করে সব ধরনের পরিবহন চালানোর ও দোকানপাট খোলার স্লোগান দিয়ে এক বিশাল মোটরসাইকেল মিছিল বের করেন।
আজ জোহর নামাজ পর রনি হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে জুবিলী ট্যাংক এলাকা থেকে শুরু করে প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে যান। সেখান থেকে মিছিলটি ঘুরিয়ে গাছপাড়া, টার্মিনাল, অনন্ত, জজ কোর্ট হয়ে জুবলি ট্যাংক এলাকায় এসে শেষ করেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা অবরোধের বিরুদ্ধের স্লোগান গুলো দিতে থাকেন। শোডাউনের সময় মোড়ে মোড়ে পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায়।
তবে সরকার পতনের এই অবরোধের প্রথম দিনে সড়কে বিক্ষোভকারী বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
মিছিল শেষে সবাই এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন। রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াত দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। তারা জনগণের সমর্থন না পেয়ে সাধারণ মানুষের জান মাল ও রাষ্ট্রের সম্পদের উপর হামলা করছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে। পাবনায় আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি।
রনি আরো বলেন, পাবনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন ও ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবীত প্রকল্প শুরু হচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পাবনার মানুষ নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি জামায়াত পাবনায় নাশকতা করলে জনগণ তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেবে।
এই অবরোধ কর্মসূচির প্রতিবাদে রনির সাথে জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, সদস্য আনিসুজ্জামান দোলন, মোস্তাক আহমেদ আজাদ, সরদার ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল আলম (গাফফারী রাসেল), বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আলহাজ্ব হোসেন জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত , পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম সোহেল, পাবনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুর রহমান মিঠু, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাকিরুল ইসলাম (রনি),
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমরুল হাসান রন্টি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শাওন রেজা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খাদেমুল ইসলাম মামুন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা কালা বাবু, মোজাম্মেল হোসেন, মমিনুল হক ফেরদৌস প্রমুখ।