ফিলিস্তিনিদের প্রতি

এনামুল হক টগর

বিশ্ব মানবতা কি নিরব ঘুমিয়ে পড়েছো দীর্ঘ সময়ের যাত্রা পথে অসহায় মানবতা?

আর কতোকাল ঘুমিয়ে থাকবে হে মানব জাতি?ধীরে ধীরে হও প্রগতি।

ফিলিস্তিনিদের পবিত্র স্বদেশ আজ আহত বিক্ষত জীবনগুলো সংঘাতে সংঘর্ষে ক্লান্ত দহন।

মৃত শিশুদের ক্ষতবিক্ষত লাশ আর লাশে ভরা মাটির বুকে আজ বেদনাবিধুর যন্ত্রণা। 

বিশ্ব মানবতার আর্দশ আজ মানব জাতিকে ডাকছে জেগে ওঠো সংগ্ৰাম দূর বহুদূর-

সভ্যতার বিপ্লবী সময় আজ পৃথিবীকে ডাকছে জেগে ওঠো দৃঢ় দীপ্ত জীবন অঙ্গীকার।

বিদ্রোহ অগ্নি শিখার মতো দাউ দাউ জ্বলে ওঠো আমির সিদ্দিকী সু-ষমবন্টন অধিকার।

কেন যে ঘুমিয়ে আছে ফিলিস্তিনিরা,কেন যে ঘুমিয়ে আছে উমর তীক্ষ্ণ তরবারি?

ভোর বেলায় বিপ্লবী পাখিরা তোমাদের ডাকছে জেগে ওঠো আলী জুলফিকার।

স্বাধীনতার রণাঙ্গনে বীর যোদ্ধারা তোমাদের ডাকছে সাহসী খালিদ বিন ওয়ালিদ।

যুদ্ধ করতেই হবে ইস্পাত কঠিন দানবের মুখোশ ভেঙে বিপাশা মুক্ত স্বদেশ।

প্রতিটি মৃত্যুই যেন ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি পুষ্প সৌরভ অখণ্ড দেশ আগামী অশেষ।

প্রতিটি জন্মই যেন নব নব দেশপ্রেমের লড়াইয়ে আনে জীবনের বাস্তব অধিকার।

এইতো গতরাতে হাসপাতালে আহত শিশু কিশোর,

আর নারী পুরুষদের ওরা হত্যা করলো নির্মম ও নিষ্ঠুর।

সাহসী দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধারা জেগে ওঠো সময়ের মহাবীর।

ছুটে চলো পৃথিবীর বুকে ধ্বনি প্রতিধ্বনি আওয়াজ তোল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার।

যুদ্ধ জীবনকে ধ্বংস করে তীব্র ব্যথায় কাঁদে বেদনাবিধুর।

আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া শান্তি ও স্বাধীনতা আসে না জীবন দীপ্তকর।

বিনিদ্র কবি আমি ন্যায়পরায়ণ যুদ্ধের শেকড়ে রসদ দেই কলম কালি হাতিয়ার।

ঘাতক সাম্রাজ্যবাদ শাসকের দেহে আমরা আগুন জ্বালাই পুড়াই তীব্র দহন,

আঁধার ভেঙে আঁধার চুরে প্রতিনিয়ত আনি সূর্য দীপ্ত প্রাণের সকাল জাগরণ।

ফিলিস্তিনি জেগে ওঠো,পৃথিবী জেগে ওঠো,দাউ দাউ যুদ্ধের আওয়াজ অগ্নি লেলিহান।

মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে পুনরায় জেগে ওঠো নব নব প্রাণ নব নব ফিলিস্তিনি সাম্য উদ্যান।

জীবন ততদিন বেঁচে থাকে ততদিনই যুদ্ধ সংগ্ৰাম করে অনাগত বিপ্লব জাগরণ,

মহাকালের পথে হেঁটে যাও লড়াই করো নতুন নির্মাণ ও সংস্কারের চেতনা আহ্বান।

ফিলিস্তিন জেগে ওঠো‍ফিলিস্তিনি জেগে ওঠো,বিপ্লব সংগ্ৰাম আন্দো