খালেদ আহমেদঃ চলতি সরকারের শেষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর)। যদিও গত মাসে কোনো একনেক সভা হয়নি। তবে মাসের শেষদিনের একনেক সভায় পরিকল্পনা কমিশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮২টি প্রকল্প গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এর মধ্যে ৩৭ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক কার্যপত্র অনুযায়ী, মোট প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প এবং ৬টি ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া বাকি ৩২টি পরিকল্পনামন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অনুমোদন দিয়েছেন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম রাষ্ট্রপতির এলাকা পাবনা শহরের বুকে প্রবাহিত বহুল আলোচিত জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনি।
পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাস্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদ মাস্টার ও ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলম।
রনি তার বক্তব্য বলেন ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছি। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমার বাবা অনেক চেষ্টা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাজি করিয়ে এ প্রকল্প পাশ করে এনেছেন। তিনি বলেন এই ইছামতি পুনরুজ্জীবিতকরণের জন্য ১ হাজার ৫শ ৫৫ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। আমি পাবনাবাসীকে কথা দিচ্ছি নিজে থেকে তদারকি করব যাতে রাষ্ট্রের একটি টাকাও এদিক-ওদিক না হয়। অন্যান্য বক্তাদের প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার দাবির সূত্র ধরে বলেন, আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান। বিষয়টি আমি বাবার সঙ্গে আলাপ করব।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, সদস্য আসাদুজ্জামান দোলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইমরুল হাসান রন্টি প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে রনি জেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীদের নিয়ে পাবনা জেলা স্কুলের মাঠ থেকে এক আনন্দ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।