ঢাকা আদাবর থানার বিএনপি নেতার গ্রামের বাড়ি লাশ দেখতে স্বজন ও গ্রামবাসী ভিড় নাটোরে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন

নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপি-জামায়াতের হরতালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় নিহত আদাবর থানার বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ (৩৫) এর লাশ গ্রামের বাড়ি নাটোরে পৌঁছেছে। রোববার রাতেই নিহতের ভাই রাকিবুজ্জামান বাবু ভাইয়ের লাশ নিয়ে লালপুর উপজেলার নাগদহ গ্রামে বাড়িতে যান।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাগদহ (শোভ) নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয় এর আগে, সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের নাগদহ গ্রামের বাড়িতে মরদেহটি এসে পৌঁছায়। লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জি (ওসি) উজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত রশিদ উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নাগদহ গ্রামের মৃত খলিলের ছেলে এবং তিনি ঢাকায় এক্সপোর্টের প্যান্ট তৈরি কাজ করতেন। এদিকে ওই দিন সকাল থেকে আব্দুর রশিদের লাশ দেখতে স্বজন ও গ্রামবাসী ভিড় জমায় বাড়িটিতে। সন্তান হারা মা,স্বামী হারা স্ত্রী আর স্বজনদের কান্না থামছেনা। কেউ তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা। বাবুর দাবি তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে পুলিশ তার কাছ থেকে লিখে নিয়েছে। আব্দুর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার একই দাবি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
বাবু জানান, আব্দুর রশিদ ঢাকার আদাবর থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক। দীর্ঘ ১৪ বছর পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করে সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি ঠিকাদারি পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, আব্দুর রশিদ অনেক বছর ধরেই ঢাকায় বসবাস করেন। সে গত রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল চলাকালে ঢাকার আসাদ এভিনিউয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে ‘পরিস্থান পরিবহন’ একটি যাত্রীবাহী বাসে রশিদ আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে জাকির হোসেন রোডের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ পড়ে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি-জামায়াতের হরতালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় সকালে আদাবর এলাকায় তার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সেদিন দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।