হাতুড়ির আঘাতে বগুড়ায় গৃহবধুকে হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার

// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
পাওয়া টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বগুড়া নিশিন্ধারায় গৃহবধূ তাসলিমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো।
এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামী শাকিব উদ্দিন পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শাকিব বগুড়া সদরের রাজাপুর এলাকার মো. আনিছার রহমানের ছেলে এবং অটোরিকশা চালক। এছাড়া শাকিব নিহত তাছলিমা আক্তারের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাছলিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেদিন দিবাগত রাতে শাকিবকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন শুক্রবার রাতে নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলা দায়েরের পর শাকিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সুদীপ জানান, শাকিব ইজিবাইক চালক। তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে তার ইজিবাইক চালাচ্ছিলেন। এ সময় অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় তার ইজিবাইকের একটি অংশ বেঁকে যায়। এটি ঠিক করার জন্য ওই এলাকায় তার প্রতিবেশী চাচাতো বোন তাসলিমার বাড়িতে যান হাতুড়ি নিতে। গাড়ি ঠিক করার পর তাসলিমা শাকিবকে বাড়ির মধ্যে ডেকে নাশতা করতে বলেন। এই সময় তাসলিমা শাকিবের কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকার প্রসঙ্গ তোলেন। তখন শাকিব পরে টাকা দিতে চান। এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাতুড়ি দিয়ে তাসলিমাকে আঘাত করেন। কিন্তু সেই আঘাত লাগে তাসলিমার ছেলে (৩) কাজিমের মাথায়। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাসলিমার মাথায় হাতুড়ির আঘাত করেন। এই আঘাতে তাসলিমা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তখন পালিয়ে যান শাকিব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো ভাঙারির ব্যবসায়ী সিরাজুল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে আসেন । কিন্তু এসে দেখেন ঘর অন্ধকার হয়ে আছে। লাইট জ্বালালে তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই রক্তমাখা হাতুড়ি পড়ে ছিল। তাদের তিন বছরের শিশু হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পান সিরাজুল। এমন অবস্থা দেখে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে ছেলেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শিশুটির এখনো চিকিৎসা চলছে।