// রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনার বহুল কাঙ্ক্ষিত পাবনা মেডিকেল কলেজের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আজ ঈদে মিলাদুন্নবী, আমরা যারা মুসলমান ধর্মাবলম্বী তাদের জন্য আজকের দিনটি বিষেশ গুরুত্বপূর্ণ। আবার আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ‘আজকের দিনটি পাবনাবাসীর জন্য মহেন্দ্রক্ষণ। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত।আজ আমার আনন্দের সীমা সীমাহীন দিগন্তে পৌছে গেছে। ২০০৮ সালে পাবনা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তি শুরু হয়। এরপর থেকে কেউ এটি( হাসপাতাল) নিয়ে মাথা ঘামায়নি চিন্তাও করেনি। একটি মেডিক্যাল কলেজ তখনই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় যখন তার সাথে একটি আধুনিক হাসপাতাল থাকে। স্থানীয় প্রতিনিধিরা কেউ এ বিষয়ে কখনও কারো দৃষ্টিগোচর করেনি। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে এনে এই হাসপাতালটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। যেটি ইতিমধ্যে একনেকে অনুমোদন হয়েছে। হাসপাতালটি নির্মাণের মাধ্যমে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।’
অতি দ্রুত এই হাসপাাতালের কাজ শুরু করতে স্বাস্থ্য বিভাগ, মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
এসময় পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর, পাবনা পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সহ বেসামরিক, সামরিক, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা গণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। এরপর ৪টা ৩০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। রাত ৯টার দিকে তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার বিকেলে সাঁথিয়া পৌরসভার আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠান শেষে পাবনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার শেষে পাবনা স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।