// নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ম ভেঙ্গে দু:স্থ্যদের মাঝে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাউল বিতরনকালে প্রতিবাদ করায় রঈস উদ্দিন নামে এক ইউপি সদস্যকে মারপিট করেছেন একই পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ছেলে ও তার লোকজন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠি-সোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য রঈস উদ্দিনের লোকজন ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত মহিলা ওর্য়াড সদস্য মোমেনা বেগমের ছেলে মান্নানকে মারপিট করে আহত করেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খাজুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে তার পরিষদ চত্বরে দু:স্থ্যদের মাঝে সারিবদ্ধ ভাবে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাউল বিতরন কাজ চলছিল। এসময় ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত মহিলা ওর্য়াড সদস্য মোমেনা বেগমের ছেলে মান্নান সারিবদ্ধ নিয়ম ভেঙ্গে ৪/৫ জনকে চাউল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় অন্য সুবিধা ভোগিরা আপত্তি জানালে ৫নং ওর্য়াড সদস্য রঈস উদ্দিন সুবিধাভোগিদের হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মান্নান ও তার লোকজন ইউপি সদস্য রঈস উদ্দিনকে গাল-মন্দ করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খাজুরা বাজারে চা খেতে গেলে মান্নান ও তার লোকজন ইউপি সদস্য রঈস উদ্দিনকে মারপিট করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং রঈস উদ্দিনের লোকজন মান্নানকে মারপিট করেন। এই অবস্থায় স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এনিয়ে আর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।