যশোরে মণিহার সিনেমা হলের মালিক সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ইয়ানূর রহমান : চাঁদা না দেয়ায় যশোরের মণিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি ক্যান্টিনে হামলা ভাঙচুর সহ ১২/১৩ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে।

এ অভিযোগ এনে রোববার হল মালিক সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত
অভিযোগ দিয়েছেন ডিসি ক্যান্টিনের মালিক নাজির শংকরপুর এলাকার এবিএম কামরুজ্জামান পলাশ। সেখানে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে সিনেমা হল মালিক জিয়াউর রহমান মিঠুকে।

অন্যরা হলেন, ম্যানেজার মোল্লাপাড়া বাঁশতলার মোল্লা ফারুক আহম্মেদ, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ, বলাডাঙ্গা কাজীপুরের সবুজ দাস ও নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার জনি।

থানায় অভিযোগে উল্লেখ রছেয়ে, ১৯৮৪ সাল থেকে তারা মণিহার সিনেমা হলের ৩য়
তলায় ডিসি ক্যান্টিন দোকানটি পজিশন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
প্রথমে তার বাবা আব্দুল মালেক এবং বাবার মৃত্যুর পর তিনি এ প্রতিষ্ঠানটি দেখাশোনা করে আসছেন। এছাড়াও মণিহার কমপ্লেক্সে তার আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বিবাদীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তিন
লাখ টাকা চাঁদা দেন। এরপর আরও দু’ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিবাদীরা।

এর জের ধরে গত শনিবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথে আইটি পার্কের গেটের সামনে
পৌঁছালে আব্দুর রশিদ ও জনিসহ অজ্ঞাত সাত-আটজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর মামলা প্রত্যাহার ও আরও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট ও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে।
ওইসময় পকেটে থাকা ব্যবসার ৭০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয় তারা।

এছাড়া, পরে রাতের আঁধারে বিবাদীরা মনিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি
ক্যান্টিন ভাঙচুর করে। দোকানে থাকা পাঁচ লাখ টাকা লুট এবং আরও সাত লাখ
টাকার মালামালের ক্ষতি করে। পরে সব মালামাল মণিহার সিনেমা হলের নীচতলার
একপাশে ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে মণিহার সিনেমা হলের মালিক জিয়াউর রহমান মিঠু বলেন, পলাশ অবৈধভাবে
৩য় তলায় ডিসি ক্যান্টিন চালিয়ে যাচ্ছিল। ডিসি ক্যান্টিনের ওই স্থানে তারা
শিশু বিনোদন ও মাতৃদুগ্ধ পান কেন্দ্র করতে ক্যান্টিনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়।
কিন্তু পলাশ ছেড়ে না দিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকেন। এ বিষয়ে তারা পুলিশ
সুপারের কাছে অভিযোগও দিয়েছেন। সর্বশেষ শনিবার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার
কথা ছিল। কিন্তু পলাশ সরাননি। বাধ্য হয়ে মালামাল সরিয়ে তার আরেকটি দোকান
আস্থা বেকারির সামনে রেখে আসা হয়েছে। লুটপাট চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা
বলে দাবি করেন তিনি।