// আব্দুল জব্বার, পাবনা :: “ম’রো না, মেরো না, যদি পার মৃত্যুকে অবলুপ্ত কর”,“ঐ তিনি যখন যেখানে আবির্ভূত হন সে স্থানই মানুষের পরমতীর্থ” শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের এমন অসংখ্য বাণী ধারণ করে পাবনা হিমায়েতপুরে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসব চলছে। এ উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় মাতৃসম্মেলন। তিন দিনের মহোৎসবে রয়েছে, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, নাম-ধ্যান, ভক্তিসংগীত, যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, মাঙ্গলিকা ঊষাকীর্তন, আবির্ভাবলগ্নের প্রণাম ও অর্ঘাঞ্জলী অর্পন, ঠাকুরের জন্ম স্থান প্রদক্ষিণ, ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান, কিশোরমেলা, ভক্তিগীতি, লোকরঞ্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।এছাড়াও ভক্তদের মধ্যে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় আয়োজন রয়েছে ধর্ম আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পৌর কাউন্সিলর শাহীন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ হোসেনন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক গোপিনাথ কুন্ডু। স্বাগত বক্তব রাখেন আশ্রম সম্পাদক রঞ্জন কুমার সাহা। সঞ্চালনা করেন ড. নরেশ চন্দ্র মধু।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি সেবে মহোৎসবের উদ্বোধন করবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায়।
আশ্রমের প্রচার সম্পাদক হিরন্ময় ঘোষ জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং বৃষ্টির ধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুরের ভক্ত অনুসারীরা এসেছেন। দেশের বাইরে থেকেও ঠাকুর ভক্তরা এসেছেন। তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটবে। ভক্তবৃন্দ যেন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে সে জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং ফায়ার সার্বিকের কর্মীরা কাজ করছেন।