// শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বার্তা না পেলে হরতাল অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমরা করে যাচ্ছি। হরতাল অবরোধ শান্তির প্রবক্তারাই চালু করেছে। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বোঝে তাহলে হরতাল-অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক আলোচনা সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘হরতাল অবরোধ কোনো সহিংস কর্মসূচি না। হরতাল অবরোধ শান্তির কর্মসূচি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে একটি অবৈধ সরকারকে অচল করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভীতিকর অসুস্থ সমাজ তৈরি করেছে। ভীতি ও আতঙ্কের অন্ধকার রাত তৈরি করে তিনি আরেকটি নির্বাচন করে নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার গঠন করার পাঁয়তারা করছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আদালতের কার্যক্রম এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গায়েবি মামলা দেখে আমরা তা বুঝতে পারছি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা নানা দুঃশাসন দেখেছি। এই দেড় দশকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তাণ্ডবে দেখেছি। আমরা তাণ্ডব দেখেছি সশস্ত্র যুবলীগ ছাত্রলীগের। তারা আবরারকে হত্যা করে কীভাবে নিত্য করেছে। আমরা দেখেছি ২০০৬ সালে লাশের উপর নিত্য করতে। তাদের সেই নিত্য এখনো থামেনি এখনো চলছে। তাদের যুবলীগ ছাত্রলীগ দ্বারা গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আরেকটি যুক্ত হয়েছে আদালতের বিচারকরা। তারা আরও নিষ্ঠার সঙ্গে শেখ হাসিনার পৈশাচিক স্বৈরতন্ত্রের স্বপক্ষে নেমে একের পর এক সাজা দিচ্ছে। যেখানেই দেখি হাইকোর্ট জর্জকোট সেখানেই তাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের লোক। এই সমাজে কি আর কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় চান্স পায় না? শুধু তারাই চান্স পাবে? যারা সক্রিয় রাজনীতি করে তারা খুব কম চান্স পায় কিন্তু একটি মাত্র দলের তারা সবাই চান্স পায়। বিসিএস পরীক্ষায় ভেরিফিকেশন গেলে পুলিশ দেখে সেই ছেলেটা আওয়ামী লীগ পরিবারের নাকি। যদি দেখে তার কেউ কোনো আত্মীয় বিএনপি করে তাহলে সে চান্স পায় না। তাকে ক্যাডার বানানো হয় না। এই জন্য ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে জনগণ পেরে ওঠে না।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুল হক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসারসহ অনেকে।