// ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় গত ক’দিন ধরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। উপজেলায় লোডশেডিংয়ের কারণে কৃষি, শিল্প, ব্যাবসা-বাণিজ্য সহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা ঝিঁমিয়ে পড়েছে। বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। রাতের বেলায় টানা লোডশেডিংয়ের কারণে পড়াশুনা করতে পারছেন না ছাত্রছাত্রীরা। উপজেলায় দিনের বেলায় কিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও ঘোর নিশিতে উপজেলাবাসীর জীবন কাটছে অন্ধকারে। তাই সম্প্রতী ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে বলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা সদরে স্বাধীনতা চত্তরের এক ব্যাবসায়ী আঃ আজিজ মোল্যা বলেন, “ গত ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ পেয়েছি সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। বিদ্যুৎ কর্মীদের স্বেচ্ছাচারীতার কারণে উপজেলার সমস্ত জনগন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন”।
একই দিন চরভদ্রাসন সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান,“ বিদ্যুতের লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে এবং আগে কয়েকদিন গরম আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে”।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ক’দিন ধরে উপজেলায় দিনরাত মিলে সর্বোচ্চ তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। দিন শেষে সন্ধা থেকে সারারাত দফায় দফায় লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেক রাতে টানা লোডশেডিংয়ে অন্ধকারে জীবন কাটাচ্ছেন উপজেলাবাসী। এতে ঘর গৃহস্থর সন্ধাকালিন কাজকর্ম ও ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া চরম বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ে উপজেলার কৃষি, শিল্প, দাপ্তরিক ও ব্যবসায়িক কাজকর্ম বিনষ্ট হচ্ছে। উপজেলায় লোডশেডিং ও কম ভোল্টেজের কারণে পারিবারিক টিভি ফ্রিজ ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বিকল হচ্ছে। সেই সাথে ফ্রিজে রক্ষিত মালামালগুলো বিনষ্ট হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উৃপজেলার গৃহস্থ পরিবারগুলো।
খোজ নিয়ে জানা যায়, দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার ৩৫টি রাইছ মিল, ১৪টি কড়াত মিল, ৮১৭টি সেচ পাম্প, ৪টি মসলা মিল, ১২টি বেকারী প্রায় সবগুলো অচল হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার শত শত অটোরিক্সা ও ভ্যানের ব্যাটারীর চার্জ দিতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সবমিলে গত ক’দিনের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে উপজেলাবাসী স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।