// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় গাভী হারানো বৃদ্ধ বিশ্বনাথ-নিত্তবালা দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মণ্ডলধর গ্রামে এই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ, পোষাক ও খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেন। এ সময় বৃদ্ধ বিশ্বনাথ-নিত্তবালার চুরি যাওয়া গাভী উদ্ধারেও জোর প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।
অসহায় এই দম্পতির আয়ের মাধ্যম একমাত্র গাভী চুরি যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্বনাথ-নিত্তবালার গাভী চুরির ঘটনা বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর নজরে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে এই দম্পতির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ দুই সপ্তাহ আগে এই পরিবারটির গোয়ালঘড় থেকে গাভী চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর তাদের মানবিক আবেদন পুলিশের নজরে আসে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই দম্পতিকে নগদ অর্থ, পোষাক ও খাদ্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একাধিক দল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গুরুত্বসহ গাভী উদ্ধারসহ চোর চক্রটিকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে। বিশ্বনাথ-নিত্তবালা দম্পতির সবরকম মানবিক আবেদনে পুলিশ পাশে থাকবে। তবে তিনি জেলা প্রশাসনসহ সমাজের অন্যান্য সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গকেও পরিবারটির সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় বিশ্বনাথ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ভাবতেও পাড়ছিনা এত বড় বাবু আমার বাড়িতে আসবেন। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। পুলিশ প্রথম থেকেই আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের প্রতি আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। পুলিশ আমাকে আশ্বাস দিয়েছে গাভীটি তারা উদ্ধার করে দিবেন। তারা আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন তাতে আপাতত পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে থাকতে পারবো। এই গাভীই ছিল আমার আয়ের অন্যতম উৎস।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির রাতে বিশ্বনাথ সরকার ও নিত্তবালা দম্পতি ঘুমিয়ে পড়লে বাাড়ির দরজা কেটে গাভিটি চুরি করে দুর্বৃত্তরা। ঘুম থেকে জেগে বিশ্বনাথ দেখেন গোয়াল শূন্য। চুরির সময় গাভিটি ছিল ১০ মাসের গর্ভবতী। বিশ্বনাথ সরকার (৭৫) ও নিত্তবালা সরকার (৬৬) সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মণ্ডলধর গ্রামের বাসিন্দা।
বৃদ্ধ বিশ্বনাথ-নিত্তবালা দম্পতিকে উপহার প্রদানের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।