// চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা গ্রামের মজনুর রহমান মাস্টারের ছেলে রুবায়েত হাসান নোমান (২০)। এ বছরে তিনি ভর্তির সূযোগ পেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামি ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা ছিল। জাবিতে পড়তে যাওয়া হলোনা তার। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে দ্রুত গতির বাস কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। সিএনজি যোগে ঈশ্বরদীর দিকে যাওয়ার সময় পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের টেবুনিয়া কৃষি ফার্মের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনায় রিফাত আল সিফাত (২১) নামক আরো এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সিফাত চলতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী, খুলনা ও গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ছিলেন। গত বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা যোগে ঈশ্বরদীর দিকে যাবার পথে তারা পাবনা সদর থানাধীন টেবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল গেটের সামনে পৌঁছিলে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রাব্বি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ৪৯৬৪) বাসের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সুজানগর থানার সাতবাড়িয়া এলাকার জুনা রামচন্দ্রপুর গ্রামের কারুজ্জামানের ছেলে রিফাত আল সিফাত ওরফে শান্ত, রুবায়েত হাসান নোমান ও ঈশ্বরদীর মানিক নগর গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে আঁখি (১৮)সহ অপর একজন আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাত আল সিফাত ওরফে শান্ত ও রুবায়েত হাসান নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আঁখি বাড়ি চলে যায়। হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক বাস ও সিএনজি আটক করেছে।
পাকশী হাইয়ে থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ৩ জন ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিলেন। রাব্বি পরিবহন নামক যাত্রীবাহী বাসটি পাবনার দিকে যাচ্ছিল। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহতদের উদ্ধার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সিএনজি চালকসহ আহত দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।