// লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর চলমান এশিয়া কাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন টাইগার অভিজ্ঞ ওপেনার ব্যাটার তামিম ইকবাল। এছাড়া এই টুর্নামেন্টের প্রথম খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কোয়াডের বাইরে ছিটকে যায় দলের আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। এতে করে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো অভিজ্ঞ ওপেনার ব্যাটার ছাড়াই স্কোয়াডে থাকা তরুণ ওপেনার নাইম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপর ভরসা করেই মাঠে নামতে হয়।
তবে সেই ম্যাচে টাইগারদের হতে হয় হতাশ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে যে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে অনুমেয় ছিল। হলোও তাই ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হলো দলের মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নাঈম। আর এই পরিবর্তনেই যেন বাজিমাত। দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ফরমেটে এই পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরাজও দেখিয়েছেন তার সামর্থ্য। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও, খেলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর এরপরই ওপেনিংয়ে নামতে দেখা যায় নাইম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। ম্যাচে নাইম শেখ ৩২ বলে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা খেলে ২৮ রানে থামলেও মিরাজকে থামাতে পারেনি কেউ। ফারুকী-রশিদ-মুজিব-নাবি-গুলবাদিন-কারিম আফগান সব বোলারদেরই ক্লাস নিয়েছেন তিনি। এসময় ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মুজিবকে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছয় মেরে হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়নে তিনি। এর আগে তিনি ১১৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ের মানে ৯৪.১১ স্ট্রাইক রেটে করেন ১১২ রান। এটি তার ক্যারিয়ারের করা সর্বোচ্চ রান।
টাইগার এই অলরাউনারকে গতকাল এই ফরমেটে দ্বিতীয় বারের মতো ওপেনিং জুটিতে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। এর আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া শেষ এশিয়া কাপের (২০১৮) ফাইনালে প্রথম বারের মতো মিরাজকে ওপেনিং করতে দেখা গিয়েছিল। সেবার বাঁহাতের কবজির চোটে তামিম ইকবাল প্রথম ম্যাচেই ছিটকে যাওয়ায় তিন ম্যাচে দুই তরুণ লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ এসেছে ১৬ রান। তাই ফাইনালে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আনেন সেসময় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর অধিনায়কের রাখা সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছিলেন টাইগার এ অলরাউন্ডার। লিটনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে গড়েছিলেন ১২০ রানের জুটি। নিজে করেছিলেন ৫৯ বলে ৩২ রান। অবশ্য এরপর আর ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে নামা হয়নি মিরাজের। তবে আরেকটি এশিয়া কাপে আরেকবার ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা, অধিনায়ক ভিন্ন তবে সমাধান একজনই, আর সে হচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।