নারী সহকর্মীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকতেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার শহরের একটি মহিলা মাদরাসার ভিতরেই সহকারী শিক্ষিকা‘র সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হতেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী। সম্প্রতি মাদরাসার নারী সহকর্মীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে উক্ত মাদরাসা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনউষা ইউনিয়নের সুনারগাও পূর্ব বলরামপুর গ্রামের মৃতঃ আশিক মিয়ার পুত্র। এ বিষয়ে উক্ত মাদরাসার সভাপতি সাবেক পৌর কমিশনার আলহাজ্ব আয়াছ আহমদ, মাওঃ মনসুরুল হাছান রায়পুরী, মুফতি শামছুদ্দোহা, মুফতি হাবিবুর রহমানসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী-কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। সাবেক পৌর কাউন্সিলর, উক্ত মাদরাসার সভাপতি আলহাজ্ব আয়াছ আহমদ এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভয়েসসহ নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা গেছে- মৌলভীবাজার শহরের একটি মহিলা (সহকারী শিক্ষিকা‘র নাম, ভুক্তভোগী স্বামী‘র (তাবলীগ) নাম, মাদরাসার নাম ও ভয়েস রেকর্ড সংরক্ষণকৃত) মাদরাসায় মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি মাদরাসায় দায়িত্বপালণ কালীন সময়ে একাধিক নারী সহকর্মীর সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়েন। এর ফলে ঐ নারী অন্তঃসত্বা হলে তাকে শ্রীমঙ্গলস্থ নিয়ে তিনি গর্ভের পরিসমাপ্তি করান। মাদরাসার দায়িত্বশীল, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সুত্রে জানা গেছে- মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী উক্ত মাদরাসার আয়-ব্যয় এর হিসাবে ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন নি। ঘনিষ্টজনরা তার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান- একাধিক নারীর সাথে সর্ম্পকসহ নানা কারণে মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী‘র সংসার ভেঙ্গে যায়। সম্প্রতি নগদ ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে বউকে তালাক প্রদান করেছেন। সদ্য নগদ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিবাহ করেছেন। করেছেন নতুন বাড়ী, গড়ে তুলেছেন সম্পদ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মাওঃ আলতাফুর রহমান সাদিকী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করা হচ্ছে। আপনার স্বীকারোক্তি, ভয়েস রেকর্ডসহ একাধিক বিদ্যমান প্রমান রয়েছে এ প্রতিবেদক এর প্রশ্নের জবাবে তিনি নামাজের সময় চলে আসছে বলে মুঠোফোন কেটে বন্ধ করে দেন।