সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ ‘নিরাপদ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করি, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করি’ এই প্রতিপাদ্যেতে বগুড়ায় শুরু হয়েছে নিরাপদ ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৩। জেলা পুলিশের আয়োজনে শনিবার সকালে শহরের সাতমাথা ট্রাফিক বক্সের সামনে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে ট্রাফিকের সপ্তাহের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম পিপিএম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্ত্তী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপদ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে। বানিজ্যিক শহর হিসেবে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন হাজারও মানুষ বগুড়া শহরে আসেন। যে কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক সদস্যদের যানজট নিরসনে একপ্রকার হিমশিম খেতে হয় তার মাঝে আমাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। যতটকু আছে তা দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চেষ্টা করছি। ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে এই কাজ সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জেলায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি যাত্রীদেরকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যা যা করা দরকার পুলিশের পক্ষ থেকে সেগুলো করা হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না ও আন্ত:জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন, বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ, ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া নিরাপদ ট্রাফিক সপ্তাহ আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। উদ্বোধনী আলোচনা পর্ব শেষে জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, রোভার সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক একটি র্যালি শহরের সাতমাথা থেকে ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে যেখানে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ট্রাফিক আইন মানতে নানা সচেতনতার বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন এবং ঘোড়ার গাড়িও ছিলো বাড়তি আকর্ষণ।