// এর খুব কাছেই পাহাড়ের চূড়ায় একটি ঐতিহাসিক ও ব্যতিক্রমী মসজিদ রয়েছে। নাম কুশলাত মসজিদ। এখানে প্রতি বছর মাত্র একবার পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আগস্টের শেষ শুক্রবার মুসল্লিরা এখানে জুমার নামাজে সমবেত হন।
আলজাজিরা জানায়, ওই একটিমাত্র জুমা ছাড়া আর কখনোই মসজিদটিতে কোনো নামাজ অনুষ্ঠিত হয় না। কারণ, এখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছানো বেশ কষ্টের। পাহাড়ি সংকীর্ণ পথ বেয়ে বাগান মাড়িয়ে মসজিদে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
কুশলাত মসজিদটিকে বিজয়ের নিদর্শন আখ্যা দেওয়া হয়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রাচীন যে মসজিদগুলো আছে, এটি সেগুলোর অন্যতম। কুশলাত মসজিদের আকৃতি বাজপাখির বাসা সদৃশ। এটি পাহাড়ের চূড়ার এমন স্তরে নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানের পরিবেশ খুব মুগ্ধকর। পাশাপাশি বেশি উচ্চতা ও প্রাচীন নির্মাণশৈলি এর অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য।
সূত্র জানাচ্ছে- এই মসজিদটি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম একটি প্রাচীন ইসলামী স্থাপনা। ওসমানিয়া যুগের শুরুর দিকে এটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। পঞ্চদশ শতকে ওসমানিয়া সৈন্যরা এ অঞ্চলটি জয় করার সময়, ১৪৬০-১৪৮০ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯২-১৯৯৫ সালে এ অঞ্চলে সংঘটিত যুদ্ধে সার্ব বাহিনী মসজিদটি পুড়িয়ে দেয়। পরে অবশ্য ২০১৩ সালে ফের এটিকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্নির্মাণ করে মুসল্লিদের নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তখন থেকেই প্রতি বছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে এখানে পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এই মসজিদটি ছাড়াও বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকের ওই যুদ্ধে সার্বদের হাতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার আরও অনেক মসজিদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিভিন্ন মুসলিম দেশের আর্থিক সহায়তায় সেগুলোও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এবং মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের উপযুক্ত করা হয়েছে।