১,৫০০ টাকা লেনদেনের ঘটনা: ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
পনের’শ টাকা লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঈশ্বরদীতে ময়না খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোর ৫টায় ময়না খাতুনের মৃত্যু হয়। সে পৌর শহরের মশুরিয়াপাড়া কামারপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী।

নিহত ময়নার ছেলে মমিন হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী রনি হোসেনের স্ত্রী শিলা খাতুনের সাথে ১ হাজার ৫০০ টাকা লেনদেন নিয়ে আমার বোন নিশির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রনি ও শিলা বোন নিশিকে মারধর করে। আমি ও আমার ছোট ভাই রিপন হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদের উপরও চড়াও হয়ে মারধর করে। পরে প্রাণভয়ে আমরা এলাকার বাইরে চলে যাই। রাত সাড়ে ৮টার দিকে  রনি ও শিলার পক্ষ নিয়ে একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরের সাথে থাকা ইমরান, আলমগীর, সুজন, আসিফ, আকাশ লোহার পাইপ ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমার মাকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে মাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। রাত ১২টার দিকে অবস্থার অবণতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। রাতে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ভোরে বানেশ্বর এলাকায় তিনি মারা যান।

নিহতের আরেক ছেলে রিপন হোসেন বলেন, আমার মায়ের হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি মায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ঈশ্বরদীর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোন এজাহার পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এজাহার পেলেই মামলা হবে।