// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে দুটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছামিউল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ যে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন অস্ত্র। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জের মুরাদপুরে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ছামিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ভারতীয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি সচল ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ছামিউল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম দিঘলটারী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, উত্তরের একটি সীমান্ত এলাকা থেকে ঢাকায় পাচারের উদ্দেশে অস্ত্রগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। লালমনিরহাট জেলার জয় নামের এক ব্যক্তি তাকে এই আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহনের কাজ দেন। ছামিউলের বিরুদ্ধে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চেকপোস্ট বসিয়ে বুড়িমাড়ি থেকে আসা নারায়ণগঞ্জগামী পিংকি পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এই সময় ছামিউল বাসের জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে তার দেহ তল্লাশি করলে দুই পায়ের উরুতে টেপ দিয়ে মোড়ানো আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এই অস্ত্রগুলো ভারতে তৈরি ও সক্রিয়। তিনি রাজধানী ঢাকায় অস্ত্রের চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এসপি সুদীপ বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস ও মালিককে খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ঢাকায় কি কারণে এই অস্ত্রগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশে সম্প্রতি একটা মহল আলাদা একরম পরিবেশ তৈরি করতে তৎপর আছে। তাই সবগুলো দিক ক্ষতিয়ে দেখা হবে৷ এছাড়াও বগুড়ার সাথে সীমান্তবর্তী সব জেলার মহাসড়কে চেকপোস্ট আরও জোড়ালো করা হয়েছে। বগুড়া জেলা পুলিশের এই সংবাদ সম্মেলনে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, শরাফত ইসলামসহ শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ ও মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।