// আব্দুল জব্বার ,পাবনা।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তালাকপ্রাপ্তের পর স্ত্রীর বড় বোন সাজেদা খাতুনের ঘর-সংসার ফের জোড়া লাগাতে কবিরাজের দেয়া তাবিজ পুঁততে গিয়েছিলেন ছোট বোন জামাই মো. রিমন সরকার। কিন্তু বাড়ির সামনে তাবিজ পুঁতার সময় রিমনকে দেখে ফেলায় হাতাহাতি হয় সাবেক বড় ভায়রা হাসিনুর রহমান হাসুর সঙ্গে। এক পর্যায়ে ভায়রা হাসুকে হত্যা করে রিমন। হত্যাকে ভিন্নখাতে নিতে হাসুর বাড়িতে সিঁদ কেটেও রাখে রিমন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী।
তিনি জানান, নিহত হাসুর প্রথম স্ত্রী মানসিক অসুস্থ থাকায় পরিবারের সম্মতিতে ২য় বিয়ে করেন সাজেদা খাতুনকে। সম্প্রতি এক কন্যা সন্তানের জননী সাজেদা খাতুনকে তালাক দেন হাসু। কিন্তু স্বামীর সাথে ফের সংসার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে এক কবিরাজের দেয়া তাবিজ সাবেক স্বামী হাসুর বাড়িতে পুঁতে রাখতে ছোট বোন জামাই রিমন সরকারকে পাঠান তিনি। রিমান সেই তামিজ হাসুর বাড়িতে পুঁতে রাখতে গিয়ে হাসুর হাতে ধরা পরেন। হাসু তাকে পুলিশ তুলে দেয়ার কথা বললে তাকে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে নিহত হাসুর ঘরে সিঁদ কেটে রেখে যান রিমন। যাতে মানুষ মনে করে- চোর চুরি করতে এসে তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা উদঘাটন করতে চেষ্টা চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক রিমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার দেয়া তথ্য মতে সেই তাবিজ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল, দা ও রক্ত মাখা শার্ট ও লুঙ্গি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রিমন সরকার (২৮) ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে। নিহত হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়ার মৃত সোবাহান সরদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, সদর সার্কেল ডি,এম, হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, ভাঙ্গুড়া থানার ওসি আলহাজ্ব রাশিদুল ইসলাম ও আতাইকুলা থানার ওসি হাফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।