বর্ষাকালে চুল পড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যাও। শুধু তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে এ সকল সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে চুলে মেহেদি পাতা ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক রং হিসাবে মেহেদি পাতা খুবই কার্যকরী। কিন্তু চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও যে মেহেদি পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্ষাকালে চুল পড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যাও। শুধু তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে এই সকল সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই মেহেদি পাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
চুলের গোঁড়া মজবুত করতে
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। মাথার চেয়ে মাটিতে চুল পাওয়া যায় বেশি। চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি হ্রাস পেলে এমন সমস্যায় ভুগতে হয়। বাইরে থেকে চুল চকচকে, মসৃণ হলেও চুলের গোঁড়া মজবুত আছে কি না, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। শ্যাম্পু, সিরামের পরিবর্তে এ ক্ষেত্রে মেহেদি পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন মেহেদি লাগালে চুলের পুষ্টি ফিরে আসবে। চুল ভিতর থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। চুল পড়ার পরিমাণও ধীরে ধীরে কমে যাবে।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
প্রতিদিনের ধুলো-ময়লায় চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায়। চুল কোমল মসৃণ করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার, চেষ্টার কোনও কমতি রাখেন না কেউই। এতে হয়তো প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তা ছাড়া, রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এসকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে তাই মেহেদি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘরোয়া বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই মেহেদির মিশ্রণ তৈরি করে নিতে বলেছেন। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার কোনও ভয় থাকবে না।
খুশকি দূর করতে
অতিরিক্ত চুল পড়ার আরও একটি কারণ হল খুশকি। চুল পড়ার সমস্যা আটকাতে তাই সবার আগে খুশকি কমানো প্রয়োজন। তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পুও ব্যবহার করে থাকেন। তার পরেও দেখা যায়, বর্ষা বা শীতকাল আসতেই খুশকিতে ভরে যায় মাথা। এই সমস্যার অন্যতম একটি সমাধান হতে পারে মেহেদি। তবে প্রতিদিন মেহেদি দেওয়া সম্ভব নয়, আর ঠিকও নয়। ১৫ দিনে অন্তত দু’বার করে মেহেদি দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।