// নাটোর প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামের বাগডোব গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে নারী সুদি মহাজন সাথী খাতুনের দৌরাতেœ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষেরা। অবিলম্বে তার নির্যাতন বন্ধ করাসহ সাধারণ মানুষের নামে দায়ের করা কল্পিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার উপজেলার বাগডোব বাজারে রয়না-জোনাইল সড়কের উভয় পাশে আয়োজিত মানববন্ধনকালে ভূক্তভোগী তালশো গ্রামের নাজমা খাতুন, মনোয়ারা বেগম ও সুজাব আলী, বাগডোব গ্রামের আব্দুল খালেক, পার বাগডোব গ্রামের আব্দুর রহিম বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুদি মহাজন সাথী প্রথমে সহজ শর্তে ফাঁকা চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ঋণ দেন। কিন্তু পরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মর্জিমাফিক সুদ আদায় করেন। ঋণের ৬-৭ গুণ বেশি টাকা দিলেও তিনি চেক ও স্ট্যাম্প ফেরৎ না দিয়ে ইচ্ছেমত টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। অনেকেই ভিটাবাড়ি বিক্রি করেও তার ঋণ থেকে মুক্তি পাননি। কেউ কেউ তার নির্যাতনে ভিটেবাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় তার দৌরাতœ বন্ধ না করলে গণ আতœাহুতি দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে তারা জানান।
মানববন্ধনে তালশো গ্রামের মো: হালিম মুন্সীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, তিনি ২১ মাস আগে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে সই দিয়ে সাথী আক্তারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নেন। মাসিক ১৯ হাজার টাকা হারে আট মাসে এক লাখ ৫২ হাজার টাকা সুদ দেন তিনি। এরপর একসঙ্গে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করেন। কিন্তু চেক ও স্ট্যাম্প দু’দিন পরে ফেরৎ দেবেন জানিয়ে আদালতে ১০ লাখ টাকা পাবেন মর্মে মামলা করেছেন। আব্দুল খালেক বলেন, দুই লাখ টাকা নিয়ে ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি, এরপরও আমার নামে ১৫ লাখ টাকার মামলা করেছে। পারবাগডোব গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন একই রকম অভিযোগ করে বলেন, সুদাসলে তিনগুণ টাকা দিলেও আরো টাকার দাবিতে সাথী জোর করে আমার ফ্রিজ নিয়ে গেছে। মানববন্ধনে তাদের মত আরো কমপক্ষে ১৫ জন ভূক্তভোগী একই রকম অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, ইতিপূর্বেও মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাকে সতর্ক করেছি। তারপরও যদি এমন কাজ করে তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।