বগুড়া প্রতিনিধিঃ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অর্ধীনে ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষায় এ বছর বগুড়ায় অংশ নিয়েছে ৩৪ হজার ৪’শ ৯জন পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে জেলার ৬২টি কেন্দ্রে একসাথে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলে ১টা পর্যন্ত।
জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হয় পরীক্ষার্থীদের। চলতি বছর একটি বিষয় ছাড়া বাকি সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। কেবল আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৪৩ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অর্ধীনে ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষায় বগুড়ায় মোট ৩৪ হজার ৪’শ ৯জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ২৬ হাজার ৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৮’শ ৭৭জন এবং ছাত্রী ১২ হাজার ১’শ ৯৫জন। আলিম পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৫’শ ৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৩’শ ৫২জন আর ছাত্রী ১ হাজার ১’শ ৯১ জন। এছাড়াও এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষায় মোট ৫ হাজার ৭’শ ৯৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ১’শ ৪৯ জান এবং ছাত্রী ১ হাজার ৬’শ ৪৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলী জানান, সরকারি আজিজুল হক কলেজ বাংলাদেশের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আগে থেকে সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ডেঙ্গুমুক্ত পরিবেশ পরীক্ষা নিতে ঔষধ স্প্রে করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার শিক্ষকদের বলেছি আপনার সন্তান আপনার কাছে যেরকম এই শিক্ষার্থীরাও তেমন। কলেজে সুষ্ঠু এবং নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষায় মোট ৩৪ হজার ৪’শ ৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬ হাজার ৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। বগুড়ার ১২টি উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সকলের সমন্বয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষা শুরু করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু এবং নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলার প্রতিটি সেন্টারে সুন্দর, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে এটাই আশা করছি। পরীক্ষা চলাকালীন সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।