// নাটোর প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে শ্রেণীকক্ষে ছেঁড়া কাগজ ফেলার অপরাধে শিক্ষার্থীদেরকে সেগুলো তুলে চিবিয়ে খেতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিষয়টি আপসের নামে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে উল্টো অপমান করা হয়েছে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের। উপজেলার রামেশ^রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামসুজ্জামান সুজনের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা।
জানা যায়, গত সোমবার রামেশ^রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে কাগজ ছিঁড়ে খেলা শেষে সেগুলো মেঝেতে ফেলে দেয়। পরে সহকারী শিক্ষক শামসুজ্জামান সুজন শ্রেণীকক্ষে গিয়ে কাগজ পড়ে থাকতে দেখে ক্ষিপ্ত হন। এ সময় কাগজ ফেলার জন্য রুনা, তামিম, শাহাদৎ, সুমনা ও সিয়ামসহ কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদের মারপিট করেন তিনি। পরে প্রত্যেককে মেঝেতে পড়ে থাকা কাগজ কুড়িয়ে খাওয়ার নির্দেশ দিলে পিটুনীর ভয়ে শিক্ষার্থীরা সেগুলো চিবিয়ে খায়। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরবর্তীতে আরো কঠিন বিচার করা হবে বলেও ভয় দেখান ওই শিক্ষক। ছুটির পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপস রফার জন্য বুধবার অভিভাবকদের ডেকে নেন। কিন্তু সেখানে বিষয়টি মিমাংসার পরিবর্তে উল্টো তাদেরকেই দোষারোপ করেন তারা।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী রুনার দাদা সোহরাব হোসেন বলেন, বিষয়টি দু:খজনক। স্যারেরা প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু শিশু বাচ্চাদেরকে এভাবে কাগজ খাওয়ানোটা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শামসুজ্জামান সুজন বলেন, শিক্ষার্থীরা কাগজ ফেলে মেঝে নোংরা করায় হাল্কা শাসন করা হয়েছে। তবে কাগজ খেতে বাধ্য করার বিষয়টি সঠিক নয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।