// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে ইউনাইটেড সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর মোটা অঙ্কের ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সঞ্চয়কৃত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিপুল পরিমান গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত টাকা নিয়ে শমসের নগর, বাগান রোডস্থ সমিতি‘র (সমবায় নিবন্ধন নং- ৩৭১) এর কার্যালয়টি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকগণ জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত এবং ঋণের অপেক্ষায় থাকা নারী-পুরুষ প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে যান, কিন্তু কাউকে না পেয়ে শুন্য হাতে ফিরে আসেন। বিশেষ করে নিরহ অসহায় চা-শ্রমিকদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য- শমসের নগর চা-বাগানের বিউটি, সাজু পন্ডিত ৫০ হাজার,পাত্রখলা চা-বাগান কুন্তি সতনামী ৮ হাজার টাকা, আলীনগর চা-বাগান তানিয়া আক্তার এর ৭ হাজার ২শত টাকা, খুকি মুন্ডা বাগীছড়া বাগান ২০ হাজার টাকা, লক্ষণ মুন্ডা ১১ হাজার টাকা, বিউটি লোহার শমসেরনগর ৯০ হাজার টাকা, শেফালী রায়, ১০ হাজার ৪শত ৭৫ টাকা, সুজিত, আলীনগর চা-বাগান ২০ হাজার টাকা, মিরা, শমসের নগর ৮ হাজার ২শত টাকা, বাসুকী মুন্ডা, দেবক্ষছড়া, ২২ হাজার টাকা। এছাড়াও দেবক্ষছড়া চা-বাগান, শমসের নগর চা-বাগান, আলীনগর চা-বাগানসহ বিভিন্ন লোকজনদের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। জানা গেছে- মোটা অঙ্কের ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হয় সঞ্চয়। শতাধিক নারী-পুরুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সমিতির ব্যবস্থাপক আব্দুল খালেক ও তার সহযোগীরা বাগানসহ গ্রামে গ্রামে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন। তাঁরা ভর্তি ফি বাবদ ৫০ টাকা ও অন্য কাগজপত্র বাবদ আরও অন্যান্য টাকার মাধ্যমে সমিতির সদস্য করেন। এরপর তাঁদেরকে পাস বই দেওয়া হয়। বেশির ভাগ সদস্য লক্ষাধিক টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। ঋণের জন্য সঞ্চয় বাবদ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা করে নেওয়া হয়। সমিতির লোকজন বিভিন্ন গ্রামে সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্র কাঠামো তৈরি করেন। স্থানীয় একাধিক লোকজন বলেন- ‘বড় ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে বাগানের চা-শ্রমিক, দিন মজুর ও গ্রামের সহজ-সরল লোকদের সঙ্গে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করলে এই চক্রের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরেজমিন ইউনাইটেড সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ কার্যালয়ে গিয়ে কার্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় উক্ত সমিতির ব্যবস্থাপক আব্দুল খালেক মুঠোফোনে জানান- আমরা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেব। স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে একটি সমঝোতা বেঠক হয়েছে। কার্যালয় বন্ধ কেনও এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।