মৌলভীবাজারে চাকুরীজীবি স্ত্রীর চাকু‘র আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত কলেজ এর প্রভাষক

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো-টাইপিস্ট- কাম- কম্পিউটার অপারেটর মৌসুমী তালুকদার এর এলোপাতাড়ী চাকু‘র আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত ও রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হলেন-রাজনগর মৌলানা মুফজ্জল হোসেন ডিগ্রী কলেজ এর প্রভাষক বিপুল রায়। গত ৩ আগষ্ট দুপুরে যে কোন এক সময় মৌলভীবাজার শহরের সৈয়ারপুর এলাকার কাশিনাথ রোডস্থ এম.আর ভিলাস্থ একটি প্লাট বাসার ২য় তলায় এ ঘটনা ঘটে। মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং) মোঃ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- মৌসুমী তালুকদার ও বিপুল রায় উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। তাদের ১ শিশু সন্তান রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো-টাইপিস্ট- কাম- কম্পিউটার অপারেটর মৌসুমী তালুকদার প্রায় ১বছর যাবৎ চাকুরীস্থলে নাই। সে মানুষিক ভাবে অসুস্থ। পারিবারিক কলহের কারণেই এ ঘটনা। তিনি আরো জানান- স্বামীকে চাকু‘র আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত জখম করার পর প্রতিবেশী তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই সুযোগে স্ত্রী মৌসুমী তালুকদার তার নিজ গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে ২জনের অবস্থাই আশংকাজনক। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মুমর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাশিনাথ রোডস্থ এম.আর ভিলাস্থ প্লাট বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। তাছাড়া, অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের সাথে তাদের কোন সর্ম্পক ছিলনা। প্রায় সময় বাসার দরজা ভিতর দিয়ে আটকানো থাকে। এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বাসার কেয়ারটিকার কে অবগত করার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজ এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। একজন নারী একাই এমন ভাবে এলোপাতাড়ী চাকু‘র আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত ও রক্তাক্ত জখম করা সম্ভব কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে কেই মুখ খুলেনি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মৌসুমী তালুকদার একজন সহকর্মী জানান- মৌসুমী তালুকদার দীর্ঘদিন থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। তার এক ছোট শিশু রয়েছে। সেই ছুটি শেষ হলেও কর্মস্থলে যোগদান করেনি। বর্তমানে সে গর্ভবর্তি।