যবিপ্রবি’র ছাত্র রিয়াদ হত্যার বিচার ঢাকার জজ আদালতে হবে

ইয়ানূর রহমান : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম রিয়াদ হত্যা মামলার বিচার হবে ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতে। বাদীকে হত্যার হুমকি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ এনে যশোরে
বিচারকার্য পরিচালনা করতে বাদীর আপত্তির প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত মঙ্গলবার
এ নির্দেশনা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট
আল ফয়সাল সিদ্দিকি।

তিনি জানান, যশোরে এ মামলাটি বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে ২০১৬ সালের ১৭
ফেব্রুয়ারি এ মামলার বাদী নিহত রিয়াদের মামা রফিকুল ইসলাম রাজুকে আসামি
পক্ষ যশোর আদালতে এজলাস কক্ষে প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দেয়। শুধুই তাই
নয়, অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়। শেষমেষ পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে বাদীকে
খুলনায় পৌঁছে দেয়া হয়। এরপর থেকে বাদী আতঙ্কে ভুগছিলেন। চাঞ্চ্যকর এ
মামলাটির বিচার কার্য যশোর আদালত থেকে অন্য কোনো জেলা আদালতে
স্থানান্তরের জন্য বাদীর পক্ষে তিনি ২০২২ সালের ২ জুন হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম আছে তাঁরা হলেন
ছাত্রলীগ নেতা যবিপ্রবি শাখার তৎকালীন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, সাধারণ
সম্পাদক শামীম হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসটি বিভাগের ছাত্র ফয়সাল তানভীর,
বিইএসএস বিভাগের ছাত্র আজিজুল ইসলাম, যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার
সজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজীপাড়া তেঁতুলতলা এলাকার রওশন ইকবাল শাহী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশনপাড়ার
সালসাবিল আহমেদ জিসান, পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার ইয়াসিন মোহাম্মদ
কাজল, ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড় এলাকার এস এম জাবেদ উদ্দিন, খড়কী দীঘিরপাড়
এলাকার কামরুজ্জামান ও কারবালা এলাকার ভুট্টো। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়
জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, মফিজুর
রহমান ও মোস্তাক হোসেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম, সজিবুর রহমান,
রওশন ইকবাল শাহী, সালসাবিল আহমেদ জিসান, ইয়াসিন মোহাম্মদ কাজল ও এস এম
জাবেদ উদ্দিনকে পলাতক দেখানো হয়।