// পাবনা প্রতিনিধি :
পাবনায় পুর্ব বিরোধের জেরে ইলিয়াস হোসেন (২৮) নামের এক তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে দুই হাত পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে সদরের গয়েশপুর ইউনিয়নের ঘোপাঘাটা রাস্তার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইলিয়াস পাবনার জালালপুর নতুন পড়া মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি তাঁত ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার দুপুরে পাবনা শহরে ব্যবসায়ী কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর গভীর রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় পরিবার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পাড়া মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। এরপর সকালে গয়েশপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাটা এলাকার রাস্তার পাশে মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল দুপুরে দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। এরপর সকালে দুইহাত পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোন বিরোধ থাকার কথা নয়। তারপরও অন্য কোন কারনে আমার ছেলেকে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুইহাত পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে হয়ত রাতের কোন এ সময় তাকে হত্যা করে এখানে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে। আমরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করি দ্রুত শনাক্ত হয়ে যাবে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহতের ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যাক্তির গত ৯ জুলাই একটি ঝামেলা হয়। সেই থেকে এই ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্য কিছু আছে আমরা খতিয়ে দেখছি।