// শেরপুর প্রতিনিধি : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ডিসেম্বর ২০২২তারিখে মন্টু-হাবিবুর গংদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭জন নারি পুরুষ আহত হয়। এতে মন্টু গংদের ৭জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ । তৃতীয় পক্ষের আব্দুর রশিদ তোতা গুরুতর ভাবে আহত হয়। ১১ডিসেম্বর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মন্টু গংদের ২নারি ও ২১পুরুষের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার ৩দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রশিদ তোতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে তা হত্যা মামলায় পরিণত হয়। এসময় মন্টু গংরা পলাতক থাকায় তাদের ৩৬টি বাড়িঘর, গরু, ছাগল, হাঁস-মোরগী, পুকুরের মাছ সহ সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারিরা। পরবর্তিতে মন্টু গংদের ৩জন নিম্ন আদালত এবং ১৯জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও বাদী পক্ষের হুমকি ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক জীবন যাপন করছেন তারা । ফলে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে ২১পরিবার। সুষ্ট তদন্তের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আসামীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের সুমি ডুবারপাড় গ্রামে।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে দুই পক্ষের মাঝে চরম বিরোধ সৃষ্টি হলে হাবিবুর গংরা আধা কিলো দুর থেকে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন সমবেত করে মন্টু গংদের উপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনার ৩দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আব্দুর রশিদ তোতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিহতের পরিবারের লোক থাকা সত্বেও তৃতীয় পক্ষের বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মন্টু গংদের ২নারি ও ২১পুরুষের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, আসামীদের বাড়ীঘর লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ায় এবং বাদী পক্ষের হুমকির কারণে আসামীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।
আসামীর স্বজনরা বলছেন, এই হত্যাকান্ডের পর বাড়ীঘর লুটপাট সহ যাহারার ঘটনার সাথে যুক্ত নন, এমন লোকদেরকেও এ মামলা সহ কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। নিম্ন ও উচ্চ আদালত থেকে আসামীরা জামিন নেওয়া সত্বেও তারা এলাকায় আসলে বাদীপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালানো সহ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করায় আসামীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেনা। ফলে আমরা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি।
এ ব্যাপারে আসামীরা বলেন, আমারা উচ্চ আদালত থেকে হত্যা মামলার জামিন নিয়েও বাদী পক্ষের হুমকি আর মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকায় প্রবেশ করতে পারছিনা। আমাদের বাড়ীঘর লুটপাট হয়েছে। আমরা অনেকেই ঘটনার সাথে যুক্ত না থাকলেও আসামী করা হয়েছে। সুষ্ট তদন্তের দাবী জানান আসামীরা।
শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান,
আব্দুর রশিদ তোতা হত্যা মামলার সকল আসামীরা বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। তাদের কোন সমস্যা থাকলে, তারা থানায় যোগাযোগ করতে পারে। আমরা যে কোন সময় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছি।
সচেতন মহল বলছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আব্দুর রশিদ তোতা’র মৃত্যুর পর ২৩ আসামী ও তাদের স্বজনদের বাড়িঘর সহ সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারিরা। বাড়ীঘরের চিহ্ন টুকুও নেই। পাশাপাশি নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আসামীদের। এসবের প্রতিকার প্রয়োজন।