// পাবনা জেলা প্রতিনিধি :;
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, এমপি বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের মাধ্যমে দ্রুতই দেশের শতভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সব চেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে এই মেগা প্রকল্প। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হওয়ার পর দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতিতে শক্ত ভিত গড়বে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মত বিনিময়কালে ডেপুটি স্পীকার এসব কথা বলেন।
প্রকল্প এলাকার ইউনিট-১ ও ২ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এছাড়া প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাশিয়ান প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী মিঃ খোশলেভ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। ২০২৩ সালে মেগা প্রজেক্টটির সিভিল ওয়ার্ক শেষ হতে পারে এবং ২০২৪ এর নভেম্বর নাগাদ এর অন্যান্য কাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু এর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, শাহিন আক্তার, খালেদা খানম, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, বাসন্তী চাকমা, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান, মনিরা সুলতানা, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রত্না আহমেদ, সালমা চৌধুরী, সেলিনা ইসলাম এবং মোছাঃ ডরথী রহমান পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মান কাজ সমাপ্ত হলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তখন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ শিল্পাঞ্চলের চাহিদা পূরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সালের মাঝে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশ নোঙর করবে।
সংসদ সদস্যগণ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ডেপুটি স্পীকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একটি করে বিএসআরআই-১ জাতের তালের চারা রোপন করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।