// লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাট জেলায় দীর্ঘমেয়াদি খরার কবলে পড়েছে ফসলের ক্ষেত। জমিতে লাগানো আমন চারা বাঁচাতে এখন কৃষকদের ভরসা ভূগর্ভস্থ পানি। বর্ষা নির্ভর আমন চাষে এখন অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিতে খরচ বাড়ছে কৃষকদের।
এছাড়াও বিভিন্ন ফসল বিশেষ করে নানা ধরনের শাকসবজি ও ধান ক্ষেত এ খরায় পুড়ে যাচ্ছে। আকাশের বৃষ্টির অপেক্ষায় আর থাকা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র লাগিয়ে সেচ দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
লালমনিরহাটের ফুলগাছ ব্লকের কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন, এ খরার কারণে আমার আমন ধানের জমির বাধ্য হয়ে সেচ দিচ্ছি।
একই গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন, তার আমন ধানের জমির মাটিতে রস নেই। বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নেই। চলছে খরা। তাই বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে সেচ দিচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী, মহেন্দ্রনগর, গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ধান ক্ষেতে সেচ দিতে ব্যস্ত। বিশেষ করে দো-আঁশ ও বেলে মাটির ফসল খরায় পুড়ে যাচ্ছে। অনেকেই তিন-পাঁচ বার করে সেচ দিয়েছেন। এতে করে তাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, এ অবস্থায় জমিতে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।