অহিদুল হক, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শিশু মেহেদী হাসানের সুস্থ হয়ে মায়াবী পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। ভারতে গিয়েও সামান্য ৫০ হাজার টাকার জন্য চিকিৎসা থমকে আছে তার। এ টাকা দেয়ার আর কোন পথ না থাকায় শেষ সময়ে পুরো ভেঙ্গে পড়েছেন তার স্বজনরা।
জানা যায়, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসানের বাবা-মা বড়াল নদীর তীরে খাসজমিতে বসবাস করেন। তার বাবা ভাংড়ি মালের ব্যবসা করে সংসার চালান। ছেলের চিকিৎসায় খরচ করতে গিয়ে সংস্কারের অভাবে থাকার ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্যালকের বাড়িতে থাকেন তিনি। মেহেদীকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ভারতে নেয়ার পরামর্শ দেন। এজন্য দরকার ছিল তিন লাখ টাকা। এ ব্যাপারে গত ১ এপ্রিল যুগান্তরসহ কয়েকটি পত্রিকায় ‘শিশু মেহেদীর আর্তি, আমাকে বাঁচান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে সমাজের হৃদয়বান মানুষসহ আতœীয়স্বজনরা তার চিকিৎসার জন্য কিছু সহায়তা করেন। পরে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক থেকে আরো ৮০ হাজার টাকা ঋণ তুলে মোট তিন লাখ টাকা নিয়ে মেহেদী হাসান ও তার পিতা ভারতের ভেলোরে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন তার অপারেশনের জন্য আরো ৫০ হাজার টাকা লাগবে। এতে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে তাদের। ঋণ করাসহ নানা জনের কাছে হাত পেতে শেষ পর্যন্ত ভারতে গিয়েও অল্প কিছু টাকার জন্য মেহেদীর চিকিৎসা থমকে আছে। এ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মেহেদীর জীবন প্রদীপ নেভে যাবে কিনা এমন শঙ্কায় দিন কাটছে মেহেদী ও তার স্বজনদের। তাই সমাজের হৃদয়বান মানুষদের কাছে সামর্থ্য অনুযায়ী জনতা ব্যাংক, বনপাড়া বাজার শাখার ০১০০২৩০৯১৮৩৬২ নম্বর একাউন্টে অথবা ০১৮৪২১৮০২৪১ নম্বরে বিকাশ মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি।