// সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়া সদরে গৃহবধূ মাহামুদা আক্তার মারুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামী সাজ্জাতুল আরেফিন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে শনিবার রাত দেড়টার দিকে বগুড়া সদরের গোকুল বন্দর থেকে সাজ্জাতুল আরেফিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাজ্জাতুল বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা গ্রামের শাহাবুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাজ্জাতুল গত ২০ জুলাই দুপুরে বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা গ্রামে নিজ বাড়িতে তার স্ত্রী মারুফাকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না বেঁধে মারুফাকে ঝুঁলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন সাজ্জাতুল। ওই সময় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সাজ্জাতুলের আচরণে মারুফার বাবা আব্দুল মান্নানের সন্দেহ হয়। পরে তিনি ২২ জুলাই রাত ১২ টার দিকে সাজ্জাতুল ও তার চাচা সরাফ উদ্দিনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাতুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম আরো জানান, সাজ্জাতুল একজন ওমান ফেরত প্রবাসী। বিদেশে থাকা অবস্থায় তিনি সব টাকা স্ত্রী মারুফার কাছে জমা রাখতেন। তিনমাস আগে সাজ্জাতুল ওমান থেকে দেশে আসেন। সম্প্রতি তিনি আবারও ওমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্ত্রী মারুফার কাছে জমা রাখা টাকা ফেরত চান। তবে সাজ্জাতুলের স্ত্রী তার প্রবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই নিয়ে গত ২০ জুলাই দুপুরে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাজ্জাতুল তার স্ত্রী মারুফার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে চাচা সরাফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না বেঁধে মারুফাকে ঝুঁলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করা হয়।