// কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ব্যাঙের ছাতারমত অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে লাকড়ির ফ্যাক্টরী। কোন প্রকার নিয়মনীতি ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব মিল। এসব মিলের কালো ধোঁয়ায় দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ দুষিত হওয়ায় আশপাশের লোকজন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিশুরা স্বাসকষ্টসহ আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালিহাতী উপজেলার চারান-বল্লা রোডে পৌরসভার কুষ্টিয়া, কামার্থী ও বল্লা ইউনিয়নের আগচারান এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ লাকড়ির ফ্যাক্টরী। মিলগুলোর চারপাশে অসংখ্য বসত বাড়ি রয়েছে। এতেকরে ওইসব এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। মিলের কালোধোয়ার কারণে আশপাশের লোকজন স্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছে। মিলের ধোয়া ও দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষদের দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে মিল মালিকরা তাদের নানাভাবে হুমকি দেয়। স্থানীয়রা প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করলেও এর কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, উপজেলার কামার্থী এলাকায় মিল মালিক সাবিনুর ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ধানের কুড়া পুড়িয়ে লাকড়ি তৈরী করছেন। আগ চারান এলাকায় আজিজুর রহমান নামের এক মিল মালিক পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে তুলেছে লাকড়ির মিল। লাকড়ির মিলের কালো ধোঁয়ার কারণে বাড়িতে বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শিশুরা স্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকায় তারা প্রবাভশালী হওয়া প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে।
তারা আরও জানান, এসব অবৈধ লাকড়ির মিল বন্ধের জন্য নানা জায়গায় অভিযোগ করেছি। এসব অবৈধ মিল দ্রুত বন্ধের দাবি জানান মিলের আশপাশের পরিবার।
কালিহাতী পৌরসভার কুষ্টিয়া এলাকার সোলেমান বেপারী, জালাল উদ্দিন, কামার্থী গ্রামের আকবর হোসেন ও মজনু মিঞা জানান, কোন প্রকার কাগজ-পত্র ছাড়াই প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে র্দীঘদিন ধরে চালাচ্ছে এসব অবৈধ লাকড়ির মিল। এতে স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ কোমলমতি শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, বিষয়টি সর্ম্পকে তিনি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, এসব মিলের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া লাকড়ির ফ্যাক্টরী স্থাপন করা বে-আইনী। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।