// মুহা্মদ আবু হেলাল,শেরপুর প্রতিনিধি : পাহাড়ী ঢল অথবা বন্যার পানিতে নয়। বৃষ্টির পানি জমে পুরো অফিস চত্তরে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারি ও সেবা গ্রহনকারিগণ সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় ময়লাযুক্ত ও নোংরা পানিতে পারাপার হয়ে অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সেবা গ্রহনকারিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান। এই অফিসের পশ্চিমে রয়েছে সড়ক ও জনপথের পিচ ঢালাই সড়ক, পূর্বদিকে মহারশি নদীর কাঁচা বেড়িবাঁধ। এর উত্তর ও দক্ষিণে বসতবাড়ী। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতের পানি জমে ওই অফিস চত্তর সহ চারিপাশে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টির পানি ময়লা ও আবর্জনার সাথে মিশে কয়েকদিনের মধ্যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তারপরেও বাধ্য হয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বাসিন্দা, সেবাগ্রহনকারিগন এবং ওই অফিসের কর্মরত লোকজন এই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে হাটাচলা করতে গিয়ে অনেকেই পানিবাহিত রোগে আক্তান্ত হচ্ছেন। এর পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না স্থানীয় প্রশাসন। এ বিষয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বাসিন্দা, সেবাগ্রহনকারিগন এবং ওই অফিসের কর্মরত লোকজন দ্রুত এই সমস্যা সমাধান কামনা করছেন।
উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মো. হযরত আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, “বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আমি ইউএনও স্যার ও জেলা রেজিষ্টার স্যারকে অবহিত করেছি।
শেরপুর জেলায় নব যোগদানকারি জেলা রেজিষ্টার নূর নেওয়াজ লিটু জানান, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উর্বধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ এ প্রতিনিকে জানান, “বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম।” জনদুর্ভোগ লাগবের জন্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।